অবতক খবর,সংবাদদাতা,উত্তর দিনাজপুর,১লা জুন:: উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের মাঝিয়ালি অঞ্চলে সুভান্দী গছ সার্বজনীন কালি মন্দিরে চুরির ঘটোনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। চোপড়ার মাঝিয়ালি অঞ্চলের মন্দির কমিটির সভাপতি রঞ্জন কুমার মন্ডল জানান, মঙ্গলবার রাত্রে তাদের মন্দিরের তালা ভেঙে মা কালির প্রতিমার সমস্ত সোনা ও রুপার অলংকার খুলে নিয়ে যায় চোরেরা। শুধু গয়না নয় , তার সাথে পুজোর কাঁসা ও পিতলের বাসন পত্র, দান বাক্স ও মাইক সেট ও নিয়ে যায় চোরেরা। এই চুরির ঘটনা প্রথমে জানতে পারে মন্দিরের পূজারী ।
প্রতিদিনের মতো বুধবার পূজো করতে আসেন পূজারী নরোত্তম গোস্বামী। এসেই দেখে মন্দিরের দরজার তালা ভাঙা, প্রতিমার গয়না নেই, নেই পুজোর বাসন পত্র মাইক সেট এবং দান পাত্র বাক্সটিও। খবর দেন গ্রামবাসীদের, গ্রামবাসীরা শুরু করেন খোঁজা খুজি । এরপর দানপাত্র বাক্স ভাঙা অবস্থায় পাওয়া যায় মন্দিরের পেছনে। প্রাত ভ্রমনে গিয়ে এক গ্রামবাসী মাইক সেট পান ডাউক ব্যারেজের দিকে। মাইক সেট ফেলে দিয়ে গেলেও, গয়না বাসন পত্র ও দান বাক্সের টাকা নিয়ে যান চোরেরা। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এই এলাকায়। মন্দির কমিটির করুণা মন্ডল এবং পরিমল কুমার বিশ্বাস ও সভাপতি রঞ্জন কুমার মন্ডল জানান, মন্দিরে চুরি হয়েছে তা আমাদের কারো একার নয় , সমস্ত গয়না গাটি এলাকার এবং দূর-দূরান্তের ভক্তরাই দান করেছেন।
চুরির আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ, সোনার অলংকার আড়াই ভরির মতো, রুপার গয়না দশ ভরি, পুজোর বাসন পত্র এবং দান বাক্সের নগত প্রায় পনেরো হাজারের মতো। উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে এই এলাকার মাঝিয়ালি হাই স্কুলের দশটি কম্পিউটার চুরি হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পর ধর্মীয় স্থান, মন্দিরে চুরির ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনার লিখিত অভিযোগ চোপড়া থানায় জানাবেন বলে, মন্দির কমিটি জানান।