অবতক খবর,১ জুন: মানুষ মানুষের জন্য একটু সহানুভূতি,আর এতেই মানুষের একটি প্রাণ বেঁচে যেতে পারে। কাঁচরাপাড়া সতীশ নন্দী রোডের স্বর্ণ ব্যবসায়ী ভাইরা উল্লেখিত উক্তিটি সত্য করে দেখালেন। ৪৭ বছর বয়সী সূর্য কর্মকার(সোনা), হালিশহর পবন তলার বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই স্বর্ণের কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাই আর্থিক অবস্থাও খুব খারাপ। ফলত তিনি নাইট ডিউটি করতেন ব্যবসায়ী সমিতির ৩ নং ইউনিটে। থানার মোড়ে তাঁর একটি দোকান রয়েছে হঠাৎ দেখা যায় তার পায়ে একটি ইনফেকশন হয়েছে। সেই কারণে তাঁর পায়ের তিনটি আঙ্গুলে পচন ধরে। অসহায় হয়ে পড়েন তিনি। যেহেতু তার চিকিৎসা করার আর্থিক ক্ষমতা নেই, সেই কারণে তিনি মানুষের বাড়ি বাড়িতে গিয়ে সহযোগিতা চাইতেন।
এইভাবে তার উপর নজর পড়ে সতীশ নন্দী রোডের স্বর্ণ ব্যবসায়ী ভাইদের। তাদের মধ্যে অন্যতম গোপাল দাস। তিনিই সর্বপ্রথম দেখেন এবং উদ্যোগ নেন যে, এইভাবে তাদের এক ভাইকে ফেলে রাখা যাবে না।
এরপর তিনি সমস্ত স্বর্ণ ব্যবসায়ী ভাইদের আহ্বান জানান তাকে সহযোগিতা করার। সকলে মিলে তাদের সামর্থ্য মতো আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। আজ গোপালবাবু নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সেই অর্থ সূর্য কর্মকারের হাতে তুলে দেন। এতেই খুশিতে চোখে জল চলে আসে সূর্য বাবুর।
এ প্রসঙ্গে গোপাল দাস সহ অন্যান্য স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা জানালেন,আমরা তার পাশে সবসময় আছি।
অন্যদিকে সূর্য কর্মকার স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের এই সহযোগিতার হাত পেয়ে খুব খুশি। তিনি বলেন, এতদিন যাদের সাথে আমি কাজ করলাম তারাই আজ আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। এই সহযোগিতা পেয়ে আমি সিএমসি হাসপাতালে গিয়ে আমার পায়ের চিকিৎসা করাতে পারবো।