অবতক খবর,৪ জুন,জয়দীপ মৈত্র,দক্ষিণ দিনাজপুর: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর মাছের বাজার ও নানান ধরনের মাছ চাষ ও মাছ বিক্রির জন্য বাংলা জুড়ে সুপরিচিত ও বিখ্যাত। জামাইষষ্ঠীর আগে গঙ্গারামপুর মাছ বাজারে আগুন ইলিশের দামে। জামাই বাবাজিদের আদর আপ্যায়নে কোনরকম খামতি রাখতে নারাজ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। বছরের এই একটা দিন জামাইদের ভুরিভোজ করানোর জন্য পকেটের টাকা থেকে মোটা টাকা গুনে কিনতে হচ্ছে মাছ সহ অন্যান্য সামগ্রী। আর সেই ইলিশ মাছ কিনতে গিয়ে হাত পুড়ছে শ্বশুর-শাশুড়ীদের।
প্রসঙ্গত, কথায় আছে ভাতে-মাছে বাঙালি। আর জামাইষষ্ঠী মানেই জামাইয়ে পাতে থাকবে একটুকরো মাছের ছোয়া। তবে এই উৎসবে বেশির ভাগ ইলিশের চাহিদাটাই বেশি থাকে। চলতি বছরে সেই ইলিশের স্বাদ পেতে এবার বঞ্চিত আম বাঙালি, কারণ প্রধান কারণ অতিরিক্ত দাম। বাজারে ইলিশ কিনতে গিয়ে হাতে ছেঁকা খেতে হচ্ছে মধ্যবিত্তের। মূলত জামাইষষ্ঠীকেন কেন্দ্র করে চাহিদার তুলনায় ইলিশের কম সরবরাহ থাকায় পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম বেড়ে গেছে বলে আড়তদার, খুচরা বিক্রেতা ও ক্রেতারা জানিয়েছেন। ইলিশের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা। বাজারে এক কেজি বা তার চেয়ে কিছুটা বেশি ওজনের ইলিশ কেজি প্রতি ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে দাম ছিল ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা।
অন্যদিকে ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছিল প্রতি কেজি ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায়। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর শহরের বিভিন্ন বাজারে কমবেশি ইলিশ মাছের দাম রয়েছে। পাশাপাশি গঙ্গারামপুর হাইরোড মাছ বাজার, চিত্তরঞ্জন মাছ বাজার, পান সমিতি মাছ বাজার কালদিঘি ও ধলদিঘি ম মাছ বাজার সহ বিভিন্ন জায়গায় ইলিশ মাছের দাম রয়েছে চড়া। তাই এবারের জামাইষষ্ঠীতে জামাই বাবাজিদের আদর আপ্যায়নের জন্য ইলিশ মাছ কিনতে গিয়ে লক্ষ্মীর ভাড়ার শুন্য অনেক শ্বশুর-শাশুড়ীদের । ট্যাকের প্রচুর টাকা গুনে ইলিশ কিনে মধ্যবিত্তের হেঁসেলে রান্না করতে গিয়ে হিমাসিম খেতে হবে সকলকে তা বলাই বাহুল্য।তবে যাই হোক বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ।
জামাইষষ্ঠীতে গঙ্গারামপুরের বাঙালিরা ও জামাইরা ইলিশ খাবে না তা কি হয়, তাই আগামীকাল শশুর শাশুড়িরা জামাইদের ভুরিভোজ করাতে ইলিশ মাছ কিনে তা সহযোগে কব্জি ডুবিয়ে ভুরিভোজ করাবেন তারই অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। পাশাপাশি গঙ্গারামপুরের ইলিশ মাছের দাম অগ্নিমূল্য হওয়ায় হাতে ছ্যাকা খাচ্ছেন শশুর শাশুড়িরা তবে তা সত্ত্বেও জামাইষষ্ঠীতে জামাই আদরে কোনরকম খামতি যাতে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রেখে পকেট থেকে মোটা টাকা গুনে প্রায় বেশি দাম দিয়ে ইলিশ মাছ কিনে জামাইদের খাওয়াবেন তা বলাই বাহুল্য।