অবতক খবর,১৭ জুন,জলপাইগুড়ি: প্রতি বর্ষায় নদী গ্রাসে চলে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা কৃষিজমি, দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে কৃষকদের। গতকাল রাত পর্যন্ত সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে। বন্যা পরিস্থিতি তৈরী হাওয়ার একটা আশঙ্কা ছিল। তেমনি তৈরী রাখা হয়েছিল প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা।
রাতে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় নদীগুলিতে জলস্ফীতি কমে যায়। কিন্তু তাতেও আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না নদী সংলগ্ন এলাকার মানুষদের। একদিকে যেমন জলস্ফীতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্যার আশঙ্কা, তেমনই অন্যদিকে নদীর জল কমে যাওযায় কৃষি জমি ভাঙ্গনে চিন্তায় এলাকার কৃষকরা।
তাঁদের অতঙ্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না ।
ধূপগুড়ি ব্লকের সাঁকোয়াঝোরা ২ অঞ্চলের মল্লিক সভা সাধুরঘাট এলাকায় বিঘার পর বিঘা কৃষি জমি নদী ভাঙ্গনে তলিয়ে যাচ্ছে। গত বছর বর্ষায় প্রায় ১২ থেকে ১৫ বিঘা জমি ডুডুয়া নদীর গ্রাসে চলে যায়। এবছর ফের ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এবং নদীর জল বেড়ে গিয়েছে নদী গ্রাসে চলে যাচ্ছে কৃষি জমি। স্থানীয় নারায়ণ দাস বলেন বিভিন্ন ভাবে প্রশাসনে লিখিত আকারে জানিযেও কোনো লাভ হচ্ছে না। এখানে একটি বাঁধের প্রয়োজন কিন্তু প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। দিনের পর দিন ভাঙতে ভাঙতে চাষের জমি গুলো সমস্তই নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। এরপর নদী সংলগ্ন বাড়িগুলিও নদীতে চলে যাবে যদি বাদ না দেওয়া হয়। বৃষ্টি কমেছে এখন জল নামতে শুরু করেছে। আর জল নামতে শুরু করলেই ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হবে বলে মনে করছেন তারা।
এ বিষয়ে ধূপগুড়ির বিডিও শঙ্খদীপ দাস বলেন, বিভিন্ন জায়গায় বাঁধে ভাঙ্গন দেখা দিচ্ছে। এখনো বৃষ্টির হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পুরোপুরি জল নানা পর্যন্ত কাজ করা সম্ভব নয়। পাশাপাশি মল্লিক সভা এলাকার বিষয়টি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা দেখা হবে।