অবতক খবর, ভাটপাড়া: ভাটপাড়া পৌরসভায় আগামী মঙ্গলবারই বোর্ড গঠন করতে চলেছে তৃণমূল। মঙ্গলবারই ১৯ জন কাউন্সিলরদের থেকে একজন নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন বলে জানা গিয়েছে ।
উল্লেখ্য চেয়ারম্যান সৌরভ সিং এর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।হাইকোর্ট পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সেই নির্দেশ অনুযায়ী সৌরভ অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছেন। সৌরভ সিং যে ‘স্টে অর্ডার’ চেয়েছিলে’ সেটি খারিজ হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় ভাইস-চেয়ারম্যান ৭ দিনে মধ্যে মিটিং ডাকতে পারতেন, কিন্তু তিনিও মিটিং ডাকেননি। অবশেষে আজ ৩ জন কাউন্সিলর বোর্ড গঠনের জন্য প্রক্রিয়া শুরু করলেন। তারা বিভিন্ন কাউন্সিলরদের নোটিশ দিয়ে বোর্ড গঠনের জন্য আগামী মঙ্গলবার সকলকে থাকার আবেদন জানিয়েছেন চিঠির মারফত।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে , এই বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়ায় বিজেপির পক্ষের কাউন্সিলররা উপস্থিত থাকবেন না, তবে তৃণমূল কাউন্সিলরদের দাবি বিজেপির পক্ষে যারা রয়েছেন তাদের থেকে এখনো ৪-৫ জন তাদের দলে যোগদান করতে প্রস্তুত।
ভোট চেয়ে আর অর্জুনের দখলে থাকছে না সেটা পরিষ্কার আর এতেই শুরু হয়েছে চেয়ারম্যান নিয়ে টানাটানি। তবে প্রত্যেকেই একই কথা বলছেন যা করার ওপর নেতৃত্বই ঠিক করে দেবে ভাটপাড়ার চেয়ারম্যান পদ কে সামলাবেনা ? সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে , এই চেয়ারম্যানের পদে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিলেন এলাকার দাপুটে নেতা ও ভাটপাড়া বিধানসভা তৃণমূলের কোঅডিনেটর সোমনাথ শ্যাম। সোমনাথ বাবু ইতিমধ্যেই তার বিভিন্ন জায়গা বডিং ছবি লাগিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তার এই পদক্ষেপকে ভালোভাবে গ্রহণ করেনি ওপর নেতৃত্ব । শুধু তাই নয় সোমনাথ বাবু কাউন্সিলর পদেও নির্বাচিত হননি এমন অবস্থায় এভাবে চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় লাগিয়ে দেওয়াতে দলের ভেতরেই ক্ষোভ বাড়তে শুরু করে দেয়। অবশেষে ব্যাপারটি বুঝতে পেরে সোমনাথ সমস্ত ফ্লাক্স ও হোডিংগুলো সরিয়ে নেন।
আরো জানা গিয়েছে, যে ভাইস-চেয়ারম্যান সোমনাথ তালুকদার চেয়েছিলেন ওনাকে চেয়ারম্যান করা হোক, কিন্তু দল এই পক্ষে রাজি হয়নি। শুধু দল নয় দলের কাউন্সিলররাও ও তার পক্ষে রাজি হননি। এমন অবস্থায় ভাটপাড়া ২৪ ন ওয়ার্ড কাউন্সিলের হিমাংশু সরকার চেয়ারম্যান পদে প্রবল দাবিদার। জানা গেছে হিমাংশু সরকার জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব সাথে কো অরডিনেট করেই এগোচ্ছে।
অন্যদিকে জানা গিয়েছে, যে চেয়ারম্যান পদ নিয়ে দলের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। ১৯ জন থেকে কাউন্সিলর বেড়ে ২৩ জন হওয়ার কথা ছিল । দলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বারে বারে এই দাবি করেছেন। কিন্তু চেয়ারম্যান নির্বাচনের দিন ১৯ জন কাউন্সিলর থেকে ৫ জন নিখোঁজ হয়ে যেতে পারেন, এমন আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।