কন্ঠরোধের এক নয়া কৌশল নিয়েছে রাষ্ট্র। চলছে রাষ্ট্রীয় শব্দ স্বৈরাচারিতা। শব্দ ব্যবহার ও প্রয়োগের অধিকার কার? জনকণ্ঠ এর বিরুদ্ধে হও সোচ্চার!
ঢ্যামনা ভিস্তা
তমাল সাহা
অসংসদীয় শব্দসমূহ কি শুধু সংসদেই অসংসদীয়?
শকুনি শব্দটি বাদ গেল কেন জানতে চাই
সে তো মহাভারতীয়!
দালালে লাল আছে এটা বুঝি
দাদাগিরি বাদ গেল, দিদিগিরি নয় কেন সোজাসুজি?
এ সব শব্দ কি লুপ্ত হবে অভিধানে?
দাঙ্গাবাজ চামচে বলতে কি বোঝায়
তারা কারা,বুঝবো কি করে তার মানে?
আমি তো সাংসদ নই,যাইনা খোঁয়াড়ে।
শব্দেও স্বজনপোষণ রাষ্ট্রীয় তোষণ?
দাগি শব্দটি বাদ নয় কেন, দাগিরাই সমবেত আসরে!
লজ্জাজনক শব্দটি লজ্জা নয়, সেও খুব ভয় পায়
কাঁচুমাচু মুখ, জন্মভূমির আঁচলে মুখ লুকায়।
কবিতা বলে, খুব সাবধান!রাষ্ট্র দিয়েছে চাল জব্বর
রাষ্ট্রীয় খপ্পর বোঝো,এবার দেখি কি করে মারো খিস্তি?
পাশে দাঁড়াবে না কোনো নারদে,
সোজা পুরে দেবে গারদে জোর জবরদস্তি।
মেঘ গুরগুরু করে আমার প্রেমিকা কবিতার বুকের আকাশে
ওই শুনি পদধ্বনি, ভৈরব ফ্যাসিবাদ নিশ্চিত বুঝি আসে!