অবতক খবর,১৬ই জানুয়ারি: জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি পার্থ ভৌমিকের নির্দেশে আজ কাঁচরাপাড়া টাউন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতির মনোনয়ন পেলেন সুজিত দাস এবং হালিশহরের যুব সভাপতি মনোনীত হলেন প্রণব লোহ। এর আগে সুজিত দাস জেলা যুব কনভেনর ছিলেন। তিনি এখন যুব সভাপতির দায়িত্ব পেলেন।
তবে হালিশহরের যুব সভাপতি পদে মনোনয়ন পাবার পর প্রণব লোহকে নিয়ে তৃণমূল দলের মধ্যেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গেছে বলে এক গোষ্ঠী জানায়। তৃণমূল দলের এক গোষ্ঠীর অভিমত এই তৃণমূল কাউন্সিলর প্রণব লোহ একজন দলবদলু কাউন্সিলর। ২৩শে মে গেরুয়া প্রবাহে যখন অঞ্চল উত্তপ্ত হয়ে পড়ে তখন তিনি তৃণমূল দল পরিবর্তন করে বিজেপিতে চলে যান এবং বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়ের সঙ্গে সরাসরি দিল্লিতে গিয়ে উপস্থিত হন। এইরকম একজন সুযোগ সন্ধানী দলবদলের মানুষ প্রণব লোহ কেন যুব সভাপতির সম্মান পাবেন, এই নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। তৃণমূলের বিরোধী গোষ্ঠী জানায়,এটা কি ধরনের দৃষ্টি তৃণমূল নেতৃত্বের? যারা গোড়া থেকেই তৃণমূল দলকে সেবা করে আসছে, নিজেদের অন্য মতের দিকে ঝোঁকান নি, গেরুয়া প্রবাহকে প্রতিহত করেছে, তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন,তবে সেই কর্মীরা কেন এই সম্মানজনক পদটি পাবেনা?
তারা বলেন, এই অবস্থা যদি চলতে থাকে, পার্টি যদি প্রকৃত কর্মীদের যথাযথ মর্যাদা না দেয় তবে তারা তৃণমূল দল ত্যাগ করতে বাধ্য হবেন। বহু তৃণমূল কর্মী এই বিষয়ে ক্ষুব্ধ। তারা বলেন,দলের নেতৃত্ব মুখে এক কথা বলছে, কাজে অন্যরকম কথা বলছে। যারা প্রকৃত তৃণমূল তারাই দলের গর্ব,একথা বারবার উচ্চ নেতৃত্ব বললেও সেটি কি সত্যিই মানা হচ্ছে? যোগ্যদের কি যথার্থ সম্মান দেওয়া হচ্ছে? স্বাভাবিকভাবেই হালিশহর অঞ্চলে এই নিয়ে একটা দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে এবং দলের কর্মীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এই গোষ্ঠী আরো বলেন, জেলা যুব সভাপতি হিসেবে পার্থ ভৌমিকও যথাযোগ্য ন্যায়নিষ্ঠ কার্য করছেন না। তিনি তার খেয়ালখুশি মতো ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিচ্ছেন। উচ্চ নেতৃত্বের এইরকম দৃষ্টিভঙ্গিকে তারা পছন্দ করছেন না।
অন্য দিকে নেতৃত্বের দাবি হালিসহর প্রণব ছাড়া সকলকে সংগঠিত করা ও দক্ষতার সাথে সঞ্চালন করার মত আর কার যোগ্যতা আছে তারা প্রমান করে দেখাক। তার পড়ে তারা প্রতিক্রিয়া দিক।