অবতক খবর,৫ আগস্টঃ ভর দুপুরে কোদাল দিয়ে মাটি কুপিয়ে কাজের মান পরীক্ষা করছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা। সেই সময়ই খানিকটা দূরে তাঁদের উপস্থিতিতে সরকারি প্রকল্পের শেষ হওয়া কাজের সমস্ত তথ্য উল্লেখিত সাইন বোর্ড লাগানোর চেষ্টা করছেন পঞ্চায়েতের কর্মীরা।
একশো দিনের কাজের প্রকল্পের গতি ও মান খতিয়ে দেখতে আসা কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের এভাবেই শুক্রবার সন্তুষ্ট করতে সচেষ্ট হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সেই চেষ্টায় আধিকারিকদের কতটা তুষ্ট করা গিয়েছে, তা হয়তো জানা যাবে পরিদর্শন শেষে তাঁদের জমা দেওয়া রিপোর্ট কার্ডে। কিন্তু এ দিনের পরিদর্শনের সময় বিভিন্ন বিষয়ে আধিকারিকদের অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল ও কাজের হিসাব না দেওয়ার অভিযোগে কেন্দ্রীয় সরকার এ রাজ্যে একশো দিনের কাজ প্রকল্পের টাকা বেশ কয়েকমাস ধরে আটকে রেখেছে বলে দাবি।
পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ কী অবস্থায় রয়েছে, তা সরেজমিনে দেখতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতর সম্প্রতি প্রতিনিধিদল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মতো কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতর তিন জনের একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার সকাল ১১টায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ১ বিডিও অফিসে যান। এরপরে দলের সদস্যেরা এগরা -১ ব্লকের ঋষি বঙ্কিম চন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসে যান। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক শ্বেতা আগরওয়াল এবং বিডিও সুমন ঘোষ।
কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা ওই পঞ্চায়েত অফিস থেকে প্রথমে একশো দিনের প্রকল্পের রেজিস্ট্রার নেন এবং সোজা যান নেগুয়া গ্রামের মাঠ ভরাটের কাজ পরিদর্শনে। প্রতিনিধিরা কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়িয়ে কাজের মান যাচাই করেন। তবে মাটি খোঁড়ানো হলেও কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তাঁরা। অভিযোগ, সেখানে ডিসপ্লে বোর্ড বসানো হলেও তাতে সঠিক কোনও তথ্য ছিল না। এগরা ১ ব্লকের বিডিও অবশ্য বলছেন, “কোথাও কোন সমস্যা হয়নি। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল সব ঠিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন।” নেগুয়া থেকে বেরিয়ে জলছত্র গ্রামের রাস্তাঘাট ও আবাস যোজনায় তৈরি হওয়া বাড়ি পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা।
তবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পরিদর্শনে আসবে গত কয়েক দিনে জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েত রাত জেগে একশো দিনের কাজ প্রকল্পের নথি তৈরি করা হচ্ছে বলে দাবি প্রশাসনের। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী সেই অফিসের ভিডিও ট্যুইট করে অভিযোগ করেছেন, এভাবেই নীতিহীন কার্যকলাপ করা হচ্ছে।