অবতক খবর,১৯ জানুয়ারি : আজ ঈদগাহ ময়দান সংলগ্ন অঞ্চলে আবুদাকে স্মরণ এবং শ্রদ্ধা জানানো‌ হয়। এর উদ্যোক্তা মৃণাল সিংহরায় ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। এই সোসাইটির সভাপতি বাবুল চক্রবর্তী জানান, মৃণাল সিংহ রায় এই অঞ্চলের এক অদ্বিতীয় ব্যক্তি ছিলেন। ‌ তাঁকে স্মরণ এবং শ্রদ্ধা জানানো আমাদের কর্তব্য। এইজন্য রাজনৈতিক সংকীর্ণতার গন্ডি ছাড়িয়ে এই শহরের সব রাজনৈতিক দলের এবং শহরের সুধী ব্যক্তিত্বদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কারণ তিনি ছিলেন সমাজকর্মী। সমাজের কাজ করাই ছিল তাঁর মূল লক্ষ্য।আমরা শপথ করছি তাঁর এই আদর্শকে আমরা আগামীতে আরো বড় পরিসরে নিয়ে যাব। সংস্থার সম্পাদিকা কেয়া ঘোষাল বলেন, আজকের দিনে আমরা তাঁকে স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানালেও একটা দুঃখের কথা বলতে বাধ্য হচ্ছি। তাতে আমাদের একটু ক্ষোভও রয়েছে। সোনালী সিংহরায়ের নেতৃত্বে যে মৃণাল সিংহরায় মেমোরিয়াল সোসাইটি গঠন করা হয়েছে,আর আমরা যে ওয়েলফেয়ার সোসাইটি গঠন করেছি,আমরা সম্মিলিতভাবে এই সংস্থা গড়ে তুলতে চেয়েছিলাম। যদি আজকে এটি যৌথভাবে পরিচালিত হতো তাহলে আমার মনে হয় আবুদাকে যথাযোগ্য শ্রদ্ধা জানানো যেত। আমরা তা পারিনি এটি আমাদের অক্ষমতা। আমরা চাইনা আবুদার নাম ভাঙ্গিয়ে কোন কিছু করা হোক, সুযোগ সুবিধা নেওয়া হোক।

এদিন বহু বক্তা বক্তব্য রাখেন। ‌ টাউন কংগ্রেস সভাপতি গৌতম হাজরা বক্তব্য রাখেন, বক্তব্য রাখেন সিপিএম নেতা শম্ভু চ্যাটার্জী। তিনি বলেন, বাবলু রক্ষিত ও মৃণাল সিংহরায়কে কাঁচরাপাড়ার মানূষ কোনো দিনই ভুলতে পারবে না। দল তাঁরা করতেন কিন্তু তাঁরা যে দলের ঊর্দ্ধে অন্য এক ব্যক্তিত্ব তার প্রমাণ তাঁরা দিয়ে গেছেন। অনুষ্ঠানে আবুদার কর্মকাণ্ড নিয়ে বক্তব্য রাখেন সুবোধ অধিকারী, সুজিত দাস ও অন্যান্যরা। অন্যদিকে পৌরপ্রধান সুদামা রায় বলেন, আবু দা-র মতো পৃথিবীতে একটাই জন্মগ্রহণ করে।‌ আর একটি দ্বিতীয় আবু জন্মগ্ৰহণ করবেন না কাঁচরাপাড়ায়,আমার এই ধারণা। টাউন কংগ্রেস সভাপতি অশোক তালুকদার বলেন, সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে বেকারত্ব দূরীকরণ,ক্রীড়া সংস্কৃতি,শিল্প সংস্কৃতি প্রসারে তাঁর ভূমিকা অতুলনীয়। আজ যদি কাঁচরাপাড়ার এই অঞ্চলে এক থেকে দশ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সমাজকর্মীদের নাম লিখতে হয় তাহলে এক থেকে দশ পর্যন্ত আবুদার নামই উল্লেখ করতে হবে।
ডাঃ নায়েক বলেন, আবুদা একটা নাম। তাঁর ডাকে না সাড়া দিয়েয়ে পারা যায় না। এই জন্যই বটতলার আবুদা যে কেন এতো সার্বজনীন এবং সর্বজনীন তা তাঁর সঙ্গে মিশলে বোঝা যায়। তার সঙ্গে মিশেই আমরা তাঁকে চিনতে পেরেছি। উপপৌর প্রধান মাখন সিনহা বলেন, আবুর সঙ্গে ছিল আমার একটা আত্মিক সম্পর্ক। সে আমাকে মামা বলে ডাকত। সে এই অঞ্চলে যা যা কাজ করেছে তা এমএলএ,এমপি হয়েও করা সম্ভব নয়। নিজে কোনো পদে না থেকেও মানুষকে বিপদে আপদে যেভাবে সাহায্য করেছে তা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। এ এক ইতিহাস। আবু ছিল একটা উৎসর্গীকৃত প্রাণ।