অবতক খবর,১৬ সেপ্টেম্বর,নববারাকপুর: অপরাজেয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ১৪৬ তম জন্মদিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাল নববারাকপুর পুরসভা।বৃহস্পতিবার সকালে পুরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের শরৎ চ্যাটার্জি রোড শরৎ সংঘ প্রাঙ্গণে ।

কথাশিল্পী শরৎচন্দ্রের আবক্ষ মর্মর মূর্তিতে মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে শ্রদ্বার্ঘ জানান নববারাকপুর পুরসভার পুরপ্রধান প্রবীর সাহা, পুর প্রতিনিধি হৃষিকেশ রায়, সুদীপ ঘোষ, পুরসভার হেডক্লার্ক সজল নন্দী মজুমদার, পুরকর্মী প্রশান্ত চট্টোপাধ্যায় সহ ওয়ার্ডের এবং সংঘের বিশিষ্ট জনেরা।পুরপ্রধান প্রবীর সাহা বলেন পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে নববারাকপুর শহরে মনীষিদের জন্ম দিন পালন করা হবে যথাযথ মর্যাদার সাথে। সেই মোতাবেক কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন পালন করে শ্রদ্ধা জানান হল পুরসভার পক্ষ থেকে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশিত পথে বাংলার মহান মনীষিদের যথাযথ সন্মান প্রদর্শন করা নববারাকপুর পুরসভার উদ্যোগে চালু করা হয়েছে। আগামী প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের কাছে রবীন্দ্রনাথ নজরুল বিবেকানন্দ বঙ্কিমচন্দ্র শরৎচন্দ্রের মতো মহান মনীষিদের চিন্তা ভাবনা আদর্শ ছড়িয়ে দিলে সমাজের উন্নীত হবে বলে ধারণা। যত বেশি সন্মান শ্রদ্ধা জানাতে পারব নিজেরা তত বেশি সমৃদ্ধ হব বলে মনে করি।

বাংলার সংস্কৃতি একটা কালচার রয়েছে। কথাশিল্পীর লেখনীর মধ্যে দিয়ে ভেসে ওঠে সমাজব্যবস্হার দুঃখ দুর্দশার ছবি। বাংলা সাহিত্যের ধারক ও বাহক হিসেবে মনীষিদের যত বেশি সন্মান জানাব তত বেশি আমরা সমৃদ্ধ হব বলে জানান পুরসভার পুরপ্রধান ।তথ্য প্রযুক্তির যুগে বই পড়ার অভ্যাস অনেক কমে গেছে।

ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তির যুগে সংবাদপত্র মোবাইল পড়ছে। আগামী প্রজন্মের কাছে বঙ্কিমচন্দ্র শরৎচন্দ্র কি করতেন সেই সব তুলে ধরবার চেষ্টায় এই মহান মনীষিদের প্রতি শ্রদ্ধা ঞ্জাপন আয়োজন।