অবতক খবর,সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি :: নয়া নাগরিকত্ব আইন, ছাত্র বিক্ষোভ, এনআরসি- এনপিআর ইস্যুতে সোমবার কংগ্রেসের ডাকে সর্বদলীয় বৈঠক। সর্বদলীয় বৈঠকের মূল লক্ষ্য বিরোধী ঐক্যের মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলা, সঙ্গে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক বিরোধিতা বজায় রাখা। কিন্তু এই বৈঠক অনুপস্থিত প্রধান বিরোধী MMA । অর্থাৎ মমতা মায়া ও অরবিন্দ । এতেই প্রশ্ন উঠছে যে তাহলে কি এই বিরোধী ঐক্য কি ভেস্তে যেতে চলেছে মানে শেষ পর্যন্ত জৈলুসহীন হতে চলেছে?
কেননা, সোমবারের এই বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গরহাজিরা সবথেকে বড় চর্চ্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িযেছে। সঙ্গে বহুজন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো মায়াবতী এবং আমি আদমি দলের অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অনুপস্থিতি ঘিরেও বিরোধী ঐক্যের ভবিষ্যৎ ঘিরে প্রশ্ন উঠতে দেখা দিয়েছে।
এই বৈঠকে সিপিএম সহ বাম দলগুলো উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও, উজ্বল অনুপস্থিতি থাকতে চলেছে মমতা -মায়া -কেজরিওয়ালের। সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ সিংহ যাদবের এই বৈঠকে গরহাজির থাকার সম্ভাবনা প্রবল। সবেধন নীলমনি বামদলগুলোর সঙ্গে কংগ্রেস সর্বদলীয় বৈঠকে পশে পেতে চলেছে ডিএমকে, এনসিপি, আরজেডির মতো শক্তিগুলোকে।
বিরোধীদের সর্বদলীয় বৈঠকের আবহে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাহুল বাবাকে চ্যালেঞ্জ করছি, এই নয়া নাগরিকত্ব আইন থেকে একটিও ধারা তারা দেখান, যার মাধ্যমে কোন ভারতীয়ের নাগরিকত্ব হরণ করা সম্ভব। ‘ কংগ্রেসকে আক্রমণ করে মোদির সেকেন্ড ইন কম্যান্ড দাবি করেছেন, ‘দেশভাগের সময় কংগ্রেস গোটা দেশকে ধর্মের ভিত্তিতে ভেঙেছিল।’