অবতক খবর,৬ জানুয়ারি: আগামী ৮ই জানুয়ারি সমস্ত বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়ন সমূহের ডাকে সারা ভারত সর্বাত্মক ধর্মঘট বা হরতাল ডাকা হয়েছে। বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়ন সমূহ এবং সিপিএমের দলীয় সংগঠন, ছাত্র ও যুব সংগঠন সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন সময়ে এই ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল, পথসভা করেছে। এই ধর্মঘটকে সর্বাত্মক করার জন্য জনগণের কাছে আবেদন করেছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল আমরা বহু ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ীর মতামত জানার জন্য তাদের সঙ্গে আলোচনা করি। এই অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা জানান, কাঁচরাপাড়া কি বনধ হয়? যেকোন বন্ধ হলেই কাঁচরাপাড়ার দোকানপাট খুলে রাখতে হয়। সুতরাং ৮ই জানুয়ারি কি হবে তা আপনারাও জানেন, আমরাও জানি।
তবে অনেক ব্যবসায়ী বলেন, মনে মনে আমরা বনধকে সাপোর্ট করছি। কিন্তু ভয়ে দোকান খোলা রাখছি। তেমন যদি বাধা বিপত্তি না আসে তাহলে আমরা দোকান বন্ধ রাখব। বর্তমান রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে বুঝবেন ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক দলের শিকার। যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন ক্ষমতা প্রদর্শন করা তাদের কাজ। অর্থাৎ আমরা ব্যবসায়ীরা সবসময়ই রাজনৈতিক দলকে ভয় পাই। ফলত যে দল যখন ক্ষমতায় থাকে তার দিকেই আমাদের ঝুঁকে পড়তে হয়। এই বনধ রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পের বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে, এই বনধ বেকার সমস্যা সমাধানের দাবিতে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে,সাম্প্রদায়িকতা তৈরি করে বিভাজনের বিরুদ্ধে। বিশেষ করে এনআরসি এবং সিএএ এই দুটি আইন নিয়ে যেভাবে প্রচার চলছে তাতে আমাদের মধ্যে ভয়-আতঙ্ক নেমে এসেছে। ফলে আমরা স্বাভাবিকভাবেই এই ভারতবর্ষব্যাপী বনধকে সমর্থন করলেও স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবের দিকে তাকিয়ে আমাদের মানসিক ইচ্ছা থেকে আমাদের সরে যেতে হবে। মনে আমাদের বনধ,ভয়ে আমাদের দোকানপাট হয়তো খোলা রাখতে হবে।