আজ কাঁচরাপাড়া ঘটক রোডে পারিবারিক দাম্পত্য কলহের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে গতকাল স্বামী গোলক বিহারী মন্ডল, তিনি তাঁর স্ত্রী দেবশ্রী গুহ মন্ডলের উপর অত্যাচার চালান এবং পরবর্তীতে অ্যাসিড ছোড়েন। আক্রান্ত দেবশ্রী দেবী জানান,২০১২ সালে বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় অশান্তি। এর আগে ২০১৭ সালে এইরকম গন্ডগোল নিয়ে তার স্বামী গোলক বিহারী মন্ডল ত্রিশূল দিয়ে তাকে আক্রমণ করেন এবং তিনি আহত হন। এরপরই দেবশ্রী দেবী বীজপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ গ্ৰেপ্তার করে গোলক মন্ডলকে। এরপর গোলক মন্ডল লিখিতভাবে থানায় এবং তার স্ত্রী দেবশ্রী দেবীকে জানান যে তিনি আর তার স্ত্রীর উপর অত্যাচার করবেন না।
কিন্তু এরপরেও অর্থাৎ ১৯শে জানুয়ারি গোলক বিহারী মন্ডল তার স্ত্রীর উপর অত্যাচার চালান এবং অ্যাসিড ছোড়েন বলে অভিযোগ উঠেছে। দেবশ্রী দেবী জানান,তার স্বামী গোলক বিহারী মন্ডল সবসময়ই অশান্তির সৃষ্টি করেন। কারণ স্বরূপ তিনি জানান,’আমার স্বামী আমার উপর এত অত্যাচার করে,যাতে আমি তাকে ডিভোর্স দিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাই।’ কারণ তার স্বামী অন্য এক মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত। এমনই জানিয়েছেন দেবশ্রী দেবী।
গতকাল দেবশ্রী দেবী যখন তার ছেলেকে আঁকার ক্লাসে নিয়ে যান সেইসময় তার স্বামী,ননদ, শ্বাশুড়ি তার বাড়ির তালা ভেঙে সমস্ত জিনিসপত্র বাইরে বের করে দেয় এবং তছনছ করে দেয়। প্রতিবেশীর কাছ থেকে এই খবর পান দেবশ্রী দেবী। খবর পেয়েই বাড়ি ছুটে যান দেবশ্রী দেবী। ঠিক সেই সময় সকলে মিলে চড়াও হয় তার উপর। তাকে মারধর করা হয় এবং তার গায়ে অ্যাসিড ছোড়া হয় বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। এরপরই তিনি ছুটে যান বীজপুর থানায়। সেখানে অভিযোগ করতে গেলে প্রথমে তার অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে পুলিশ। সেই অবস্থায় ছেলেকে নিয়ে সারারাত থানায় বসেছিলেন তিনি। কারণ তিনি ভয়ে বাড়ি যেতে পারছিলেন না।
সারারাত ছোট্ট শিশুকে নিয়ে না খেয়ে তিনি থানায় রাত কাটালেন। পাশে পেলেন না কোন পুলিশ আধিকারিক এবং মহিলা কনস্টেবলকে। এখন তিনি প্রশ্ন তুলেছেন এইরকম অবস্থায় রাত কাটিয়েও পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছে। এখন তিনি কি করবেন? তিনি আরো জানিয়েছেন এই রকম পরিস্থিতি যদি চলতে থাকে তবে তিনি আত্মহত্যা করবেন। তিনি আর বেঁচে থাকতে চান না।