অবতক খবর, সংবাদদাতা :: নৈহাটির দেবকে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে গতকাল ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে নৈহাটি এবং চুঁচুড়াতে। বিস্ফোরণস্থলের পার্শ্ববর্তী বাড়িঘর স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি নদীর ওপারে অবস্থিত চুঁচুড়া হাসপাতালের জানালার কাঁচও ভেঙে পড়েছে। আর বিরোধী দলগুলি এর সম্পূর্ণ দায় চাপিয়েছেন রাজ্য সরকারের প্রশাসনের উপর। প্রশাসনের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে তাদের অভিযোগ।

এদিন সন্ধ্যায় ঘটনা সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করতে আসেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। ঘটনা প্রত্যক্ষ করার পর তিনি বলেন,”যে ঘটনাটি তা অত্যন্ত দুঃখজনক।‌তবে বোম স্কোয়াডের তদারকিতেই সাধারণত বিস্ফোরক নিস্ক্রিয় করা হয়ে থাকে। সুতরাং তারাই বলতে পারবেন এই ঘটনা কিভাবে ঘটেছে।” সেই সঙ্গে তিনি এও জানান, ঘটনার প্রসঙ্গে এফআইআর দায়ের করা হবে।

অন্যদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন বিরোধী দলের নেতা নেত্রীরা। ঘটনাস্থলে এসে হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় জানান,”ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হোক। তদন্ত হলেই সবটা জলের মতো পরিস্কার হয়ে যাবে। রাজ্য প্রশাসন যে দায়িত্বজ্ঞানহীন তা সকলের কাছে পরিষ্কার হবে।তিনি NIA দিয়ে বিস্ফোরণের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। ”

অন্যদিকে এই বিস্ফোরণ নিয়ে পুলিশ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সিপিএম নেতা মহঃ সেলিম। এদিন তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ করেন,”বোমা ও বাজি এই দুটিকে এক ভেবে বসেছে পুলিশ। পুলিশের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণে এত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি শিশু গুরুতর অসুস্থ। কিন্তু তা সত্ত্বেও বেআইনি বাজির কারখানার বিরুদ্ধে পুলিশ তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আর এর সবথেকে বড় কারণ হল,এর পেছনে তৃণমূলের নেতারা জড়িত রয়েছে।”

এছাড়াও তিনি কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যেসময় এই ঘটনা ঘটে সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় যাত্রা উৎসবের সূচনা করতে বারাসাতেই ছিলেন। সেখান থেকেই তিনি ঘটনার খবর পান। তিনি বলেন,”ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি নৈহাটি বিধায়ক পার্থ ভৌমিক ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। ‌ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।”