অবতক খবর,১৭ জানুয়ারি : শহর কলকাতায় একের পর এক হাসপাতাল ঘুরে ভোরে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় মেঘনাদ চন্দ্র নামে ওই যুবককে। সেখানেই মারা যান তিনি। টালিগঞ্জের বাসিন্দা ছিলেন মেঘনাদ। তাঁর পরিবার এই ঘটনায় হাসপাতালের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ফুটবল খেলতে গিয়ে কিছুদিন আগে কুঁচকিতে চোট লাগে মেঘনাদের। এরইমধ্যে সোমবার বাইক থেকে পড়ে গিয়ে ফের আঘাত পান তিনি। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন ওই যুবক। সন্ধ্যায় পরিবারের লোকেরা হন্যে হয়ে এ হাসপাতাল ও হাসপাতাল ঘুরে বেড়ান বলে অভিযোগ।

পরিবারের দাবি, প্রথমে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই যুবককে। সেখান থেকে এসএসকেএম হাসপাতাল, চিত্তরঞ্জন হাসপাতাল ঘুরে পৌঁছন এনআরএসে। অস্ত্রোপচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় এনআরএসে। কিন্তু অভিযোগ, মেঘনাদকে চিকিৎসা না করে দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখা হয়। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলে পরিবার। যদিও এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে চিকিৎসক সংগঠনের নেতা মানস গুমটা বলেন, “একজন এমার্জেন্সি রোগীকে এতগুলো হাসপাতাল ঘুরতে হবে কেন? তবে সরকার বারবার বলছে, রেফার করা যাবে না। আমরা বলব, হাসপাতালগুলোর কী পরিকাঠামো তা একটু গিয়ে দেখে আসুক। আদেশনামা প্রকাশ করে দিয়েই তারা ক্ষান্ত হয়ে যাচ্ছে। অথচ জানেই না কতজন চিকিৎসক আছেন, কতজন স্বাস্থ্যকর্মী আছেন, কী পরিকাঠামো। অনেক সময় অনেক চিকিৎসক বাধ্য হচ্ছেন রোগীকে রেফার করতে। সব দায় চিকিৎসকদের দিকে চাপিয়ে দেওয়া, এই প্রবণতাও বন্ধ হওয়া দরকার।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, তিন হাসপাতাল ঘুরে এসে এই মৃত্যু কেন হল তা তদন্ত করে দেখা দরকার।