অবতক খবর,১০ মে: কি হবে এই বীজপুরের? বীজপুরে করোনা আক্রান্ত হলে মানুষ কি করবেন? কোথায় যাবেন? কোথায় গেলে তারা সাহায্য পাবেন? এই প্রশ্ন ঘুরছে এখন জনসাধারণের মনে। করোনা আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াবে কে? বিশেষ করে কাঁচরাপাড়ায়। এই পরিস্থিতিতে কাঁচরাপাড়াবাসী কার্যত অসহায়।
দেখা যাচ্ছে কাঁচরাপাড়ায় যারা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন অথবা করোনায় যাদের মৃত্যু হচ্ছে তাদের বাড়িঘর স্যানিটাইজ করা তো দূর, মৃতদেহ কিভাবে নিয়ে যাওয়া হবে,কিভাবে তা সৎকার হবে তা কেউই সঠিক জানেন না। এ বিষয়ে উদাসীনতা দেখাচ্ছেন নগর প্রশাসন ও থানা প্রশাসন। তাহলে মানুষ এবার যাবে কোথায়? কোথায় বা কার কাছে গেলে এই করুণ পরিস্থিতিতে তারা সাহায্য পাবেন?
আমরা বিভিন্ন সময় দেখেছি শহরের বিভিন্ন মানুষ বলেছেন, আমরা এই করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে আছি। কিন্তু অদ্ভুত! সময়কালে কাউকেই পাশে পাচ্ছেন না আক্রান্ত পরিবার। কে স্যানিটাইজ করবে,কে মৃতদেহ তুলবে,কে করোনা আক্রান্ত পরিবার পরিজনদের পাশে দাঁড়াবে? তাদের সাহস জোগাবে? করোনা আক্রান্ত হলে দূরে সরে যাচ্ছেন এমন কিখুব কাছের মানুষরা। একা অসহায় হয়ে পড়ছেন আক্রান্ত পরিবার। যাদের মোটামুটি একটু পরিচিতি বা অন্যান্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তারা কিছু এর একটা ব্যবস্থা করে নিচ্ছেন। কিন্তু যাদের যোগাযোগ কম অথবা একদমই নেই বিপাকে পড়ছেন তারা। তাদের সাহায্য করার কেউই নেই।
এদিকে কাঁচরাপাড়া পৌরসভা করোনা সংক্রান্ত কোনো আপডেট দিচ্ছে না ওয়েব সাইটে, অন্যান্য পৌরসভা হালিশহর, কল্যাণী জনগণকে এ বিষয়ে জ্ঞাত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে।
কাঁচরাপাড়ায় ওয়ার্ড কমিটিগুলো ষর কোনো ভূমিকাই নেই। তারা এই সংকটময় পরিস্থিতিতে জনসংযোগ করে ওয়ার্ডের মানুষের মধ্যে যে সাহস জোগানোর প্রয়োজন, তার অনুভবই করছেন না।
করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলে ঘন্টার পর ঘন্টা পড়ে থাকছে দেহ। কাঁচরাপাড়ায় এরকম বহু উদাহরণ রয়েছে।
বিশেষ করে ডাঙ্গাপাড়া অঞ্চলে। আজই আবুদার বটতলা নামে পরিচিত অঞ্চলে এক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। কিন্তু তার বাড়ি স্যানিটাইজ করা তো দূরের কথা, ওই বাড়ির আশেপাশেও দেখা যায়নি কাউকে। সাহস করে কেউ তাদের সাহায্য করতে এগিয়েও যেতে চাইছেন না সংক্রমণের ভয়ে।
এই পরিস্থিতিই চলছে কাঁচরাপাড়া তথা বীজপুরে।