অবতক খবর,২৫ জানুয়ারি: ইট,কাঠ,পাথরের এই শহরে এখনও সুর আছে। পুকুর ভরাট,প্রোমোটারি দালাল এই দুঃসময়েও গান আছে, সুর আছে, সংগীত আছে। লুকিয়ে আছে প্রাণের সংগীত এই শহরে। তা প্রমাণ করল আজ ক্লাসিকাল মিউজিক অ্যাকাডেমি। তাদের এদিনের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যাটির নাম ছিল ‘সাইফোনিক ক্লাসিক্যাল ইভিনিং’ অনুষ্ঠিত হলো কাঁচরাপাড়া ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল অডিটোরিয়ামে। সুন্দর পরিবেশ ও সঙ্গীত এবং সুধী সমাবেশে অনুষ্ঠানটি ছিল হৃদয়দ্রাবী।
রবীন্দ্রনাথ নিজেই একজন ধ্রুপদী সত্ত্বা। তিনি বন্দিত হলেন সঞ্চিতা মিত্র ও কৌশিকী মিত্রের সঙ্গীত পরিবেশনে। আবৃত্তিতে ছিলেন নন্দিতা দাস, অর্গানে গোপাল চক্রবর্তী, হারমোনিয়ামে অলোক রায়,তবলায় ছিলেন বাবলু মুখার্জী।
কত্থক নৃত্যে বিভিন্ন মুদ্রা এবং বিভঙ্গে অনুষ্ঠানটি মাতিয়ে দেন গ্রেসি চৌধুরী। পরবর্তীতে ভূকালে আত্রেয়ী কর্মকার পরিবেশটিকে তার কণ্ঠের মাধ্যমে আরো উন্নততর পর্যায়ে নিয়ে যান। নিখিল রায়ের তবলাবাদন ছিল একটি উল্লেখযোগ্য।
সমাপ্তি পর্যায়ে পরিবেশটি সম্পূর্ণ সাংগীতিক হয়ে ওঠে। সন্তুর এবং সেতারের যুগলবন্দীতে ময়ূখ দাস এবং পন্ডিত অলোক দাশগুপ্তের অঙ্গুলি সঞ্চালনায় সুর ঝঙ্কারে একটি আবিষ্ট পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এমন একটি অনুষ্ঠান এই শহরের বুকে স্মরণযোগ্য হয়ে রইল।