আজ বিশ্ব আলোকচিত্র দিবস। করোনার মহাকাল চলছে। সমগ্র বিশ্ব বিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত। মারণযজ্ঞের ইতিহাস রচনা হতে চলেছে। আজ কোন ছবি ক্যামেরাবন্দি করবেন আলোকচিত্রীরা?
অবতক,১৯ আগস্টঃ করোনার মহাকাল—
বিশ্বচিত্র দিবসের ছবি ফুটে ওঠে।
কোভিড যোদ্ধারা শুধু নিরাময়ের হাত নিয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে ছোটে।
দিনের আলো ফুটে ওঠে। লকডাউনে রাস্তাজুড়ে আলো খেলা করে,
খেলা করে নদীস্রোতে, সবুজ প্রান্তরে।
বন্দরে থেমে থাকে তীব্র জলযান। ক্যাপ্টেন ঘরবন্দি থাকে, শুধু মাস্তুলে পতাকা ওড়ে।পাখিদের উড়ান বাতাসের সঙ্গে গল্প করে। জলস্রোতের কিনারে বাঁধা নৌকাখানি স্তব্ধ হয়ে আছে মাঝির ভাটিয়ালি গান।
উত্তরে নক্ষত্র ওঠে, আকাশে ফুটে ওঠে আরও নক্ষত্র রাশি রাশি। চাঁদ তাদের পাহারা দেয়,দূর থেকে ধ্বনি ওঠে আমরা মৃত্যু নয়, জীবনকে বড় ভালোবাসি।
বাইপাসের ধারে সারি সারিকোভিড হাসপাতাল, শোনে পিপিই কিট নামে নতুন শব্দ। একটির পর একটি মৃতদেহধাপার মাঠে জ্বলে যায়। কত মানুষ যেন মরেছে করোনায়।
চতুর্দিকে ছড়ানো ছেটানো ত্রাণ, সঙ্গে থাকে প্রাণ চোর।করোনাকে পণ্য করে খুলে যায় মাস্ক স্যানিটাইজারের বাজার।কর্পোরেট হাসপাতালএখন শুশ্রূষার থলি নিয়ে হাতে মুনাফাখোর।
স্বদেশে নাকি পরিযায়ী শ্রমিক থাকে!তারা হাজার হাজারমাইল পথ হেঁটে যায়।
পেটে দানাপানি নেই, কত মজুর মরে পড়ে থাকে রাস্তায়।
পাহাড় তো স্থিতধী, স্বাভাবিক মৌন।স্তব্ধতায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে আরণ্যক পাইনৎজারুল শিশু।
আলোকচিত্রী কি জানে কি ঘটবে আজ কাল বা পরশু?
নির্জন সমুদ্র সৈকত, সমুদ্র একা একা গুণে যায় ঢেউ,সমুদ্র স্নানে তোমরা যাবে নাকি কেউ?
বাগানে ফুল ফুটে ঝরে পড়ে পাখিরা মুক্ত আকাশে উড়ে যায় ,মানুষ এখন গৃহবন্দী বিশ্বপাড়ায়।
আন্তর্জাতিক দিবস,বিশ্বচিত্র দিবসে–তুমি কোন ছবি ক্যামেরাবন্দি করো,
মৃত্যুর অপেক্ষায় আছে নাকি বিশ্ব, আমার তো সন্দেহ বড়।