অবতক খবর,২৬ আগস্টঃ বীজপুর জুড়ে বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য ক্রমাগত বেড়েই চলেছিল। রাত নটা বাজতে না বাজতেই বীজপুরে দাপিয়ে বেড়াতো বালি মাফিয়ারা এবং বালি বোঝাই ডাম্পার। আর এই বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে বীজপুরে সর্বপ্রথম এবং একমাত্র কলম ধরেছিল অবতক। একের পর এক সংবাদের মাধ্যমে আমরা তুলে ধরেছিলাম মানে বোঝাই ডাম্পারের জেরে রাস্তাঘাটের বেহাল দশা এবং মানুষের দুর্দশার কথা। আর ক্রমাগত সেই খবর সম্প্রচার হতেই নজর পড়ে বীজপুর বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর।

কিন্তু অবতকের এই সত্য সংবাদ প্রকাশে শাসক শ্রেণীর অনেক নেতাই অবতকের প্রতি বিরূপ হয়েছিলেন এবং বিরুদ্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছিলেন। কারণ কামাইবাজির স্বার্থে সংবাদ বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল।

কিন্ত আজ বিজপুর বিধায়ক সুবোধ অধিকারী ঘটনাস্থলে নিজেই ছুটে আসেন। সাথে আসেন হালিশহর পৌরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানী,উপ পৌর প্রধান শুভঙ্কর ঘোষ,সিআইসি হিমানীশ ভট্টাচার্য্য,জিয়াউল হক, কাউন্সিলর সহ হালিশহর এবং বীজপুর থানার পুলিশ আধিকারিক ও অন্যান্য আধিকারিকরা।

বিধায়ক বালি পাচারের রাস্তা দিয়েই ঘটনাস্থলে প্রবেশ করেন যে রাস্তা দিয়ে একের পর এক বালির গাড়িগুলি বেরিয়ে যায়। আর তার চোখে পড়ে যে এই বালি মাফিয়ারা উন্নয়নের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে।

বিধায়ক বলেন, যে কাজ করলে আমাদের শহর কালিমালিপ্ত হবে সেই কাজ আমি এই মুহূর্তে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছি।

অন্যদিকে ঘটনাস্থলে এই বালি তোলার কাজে নিযুক্ত যে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার ছিলেন তাকে তিনি বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে বৈধ কাগজপত্র পৌরসভায় জমা দিতে হবে। না হলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মোট দুটি বালি খাদান চলছিল, যা আজ থেকে বন্ধ করে দিলেন বীজপুর বিধায়ক। তিনি সাফ জানিয়ে দেন বীজপুরের উপর দিয়ে কোনো বালির গাড়ি যাবে না। ‌

সেই সঙ্গে বীজপুরের দুই পুলিশ প্রশাসনকেও কড়া নির্দেশ দিয়েছেন যাতে তারা এই দিকটি কঠোরভাবে খেয়াল রাখেন।