আজ বুদ্ধপূর্ণিমা। ছোটবেলা থেকে ইতিহাস বইয়ের পাতায় বুদ্ধদেবকে দেখেছি। বৌদ্ধজাতক পড়েছি, পড়েছি সেরিবা সেরিবানের গল্পৃ। বুদ্ধদেব তখনও বুদ্ধদেব হননি। আমরা পড়েছি গৌতম ও বোধিসত্ত্বের সেই হিংসার বিষয় নিয়ে কথা। আজ তাকে নিয়ে একটু লিখি।
অবতকের বিশেষ প্রতিবেদন
স্মরণম্ ও শরণম্
তমাল সাহা
আকাশে আজ বুদ্ধ পূর্ণিমার চাঁদ।
পূর্ণিমার আগে বুদ্ধ শব্দটি কেমন সুন্দর ভাবে বসে যায়।
চাঁদটি আরও গোল হয়ে গিয়ে
নীচের দিকে তাকিয়ে মানুষদের দেখে আর আলো ছড়ায়।
পূর্ণিমার চাঁদ চাঁদই। তার আগে বুদ্ধ কেন,আমি ভাবতে থাকি।
চাঁদ কি প্রজ্ঞাবান হয়? প্রজ্ঞা তো দ্যুতি ছড়ায়।
চাঁদ কি তবে জ্ঞানের মতো!
তিন ভাগ জল এক ভাগ স্থলে
অপূর্ব জ্যোৎস্না ঝরে পড়ে, ঝরে পড়ে আর ঝরে পড়ে।
সেই ছবিখানি মনে পড়ে। ছোটবেলায় সে অধিকারের প্রশ্ন তুলেছিল।
আহত পাখিটির ডানায় তখনও বিঁধে আছে তীর। পাখিটির অধিকার কার?
প্রশ্ন তুলেছিল সে,যে করেছে শিকার তার না তার শুশ্রূষায় নিরাময়ে যে হাতকে করেছে প্রসার?
রবীন্দ্রনাথ সেও ছুটে আসে।
পথিক, প্রসেনজিৎ, নৃপতি পরাজিত হয়ে যায়।
সুদাস মালির পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি।
সুদাস মালি জিতে যায়।
শুদ্ধ হয়ে যায় তার বিবেকবোধ পদ্মের আরতি।
জরা ব্যাধি মৃত্যু নিয়ে তার বাস্তব গবেষণা, সে তো এক অনন্য এষণা।
আমাদের করেছিল চক্ষুদান।
শান্তি ও অহিংসাকে সে দিয়েছিল প্রাণ ও সম্মান।
আজ শ্রমণ ও শ্রমণা শব্দ দুটি আশ্চর্য মাত্রা পায়।
সুজাতার হাতে পায়েস পরমান্ন—
বোধি শব্দটি কেমন বাঙ্ময় হয়ে ওঠে
বোধিবৃক্ষের নীচে তার অপূর্ব শান্ত সমাহিত রূপ, আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ
তার ধ্যান তন্ময়তাকে করে তোলে অপরূপ।
বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি
কান পেতে শুনি সেই মন্দ্রিত ধ্বনি
প্রজ্ঞার শরণে চলো যাই তুমি আমি।