আবতক খবর, সংবাদদাতা , দেবাশিস মালিক, বারুইপুর:- সাহিত্য যাপনের বলয়ে শব্দে শব্দে জেগে ওঠে চেনা ফুলের গন্ধ।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বারুইপুরের এই সময় পরিচিতি কবি নিমাই চাঁদ হালদার। তাই কবি লিখেছেন ,
মানুষজনের চলাফেরা চলে বেশ/ সুখে-শান্তিতে গল্পে গড়ায় বেলা/ গাছের ছায়ায় বাতাসে পাখির দেশ/ দেখে যায় শুধু জোয়ার ভাটার খেলা।
পাখির পাড়ায় পথিকের মেলামেশা/ রুদ্র ছায়া গড়ছে গভীর নেশা।
বারুইপুরের কবির ইতিমধ্যে কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে l পাঠকের কাছে ইতিমধ্যে সমাদৃত হয়েছে। স্মরণে বরণ এবং পারিজাত নামে কাব্যগ্রন্থ।দিদি বনলতা মালিক তাকে ভীষণভাবে উৎসাহ জুগিয়ে যাচ্ছেন l তাই দীপ্তি হালদার এর প্রকাশনায় তিনি অক্ষরা নামে একটি লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনা করে যাচ্ছেন।
ইতিমধ্যে নিমাইবাবু একাধিক সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন। বাংলা রাইটার ফোরাম আয়োজিত কবিতা প্রতিযোগিতায় কবিতা লিখে প্রথম স্থান দখল করে ফেলেছেন। এছাড়াও প্রাপ্ত পুরস্কার হলো সাহিত্য জগৎ লাইফটাইম পুরস্কার, সাহিত্যাঙ্গন পুরস্কার মউর পঙ্খী পুরস্কার ,আন্তর্জাতিক মাইকেল মধুসূদন পুরস্কার নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন পুরস্কার সাধনা পত্রিকা পুরস্কার, বিশ্ব বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি সম্মেলন কর্তৃক পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন।
তার বইয়ের সংখ্যা ইতিমধ্যে বারোটি , তার মধ্যে রয়েছে গীতিকবিতা, ছড়া গ্রন্থ, কাব্যগ্রন্থ, প্রবন্ধ, এবং নাটক।নিমাই চাঁদ হালদার জানালেন, তিনি ছোট্ট এক অজানা গাঁ ইনসিনবেরিয়া গ্রামের বাড়ি থেকে শিক্ষকতা ছেড়ে WBCS পরীক্ষা দিয়ে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন দিদির ইচ্ছানুসারে l শেষে সরকারি চাকুরী ছাড়ার আগে কবিতায় ভেসে বেড়ান l আজও বাড়ির জন্য মন কাঁদে l তাঁর অনুপ্রেরণা নিয়ে তাঁর ছোট ভাগ্না WBCS পদে সরকারি চাকুরী করছেন l তার বাবা তরণীসেন হালদার এবং মাতা শ্রীমতি কালীদাসী হালদার তাকে ভীষণ ভাবে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে লেখালেখির ক্ষেত্রে।
তাই সহজ-সরল শব্দচয়নে কবি নিমাই চাঁদ হালদার একটি উল্লেখযোগ্য নাম হয়ে উঠেছে সাহিত্য অঙ্গনে।
তাই পারিজাত কাব্যগ্রন্থে লিখেছেন – যেতে চাই তবু যেতে যে পারিনা/ কি বাধনে বাধা এপারে/ কচি মুখ গুলো হাসি খুঁজে ফেরে/ সুরগুলো কই সে তারে?
আবার কবি লিখেছেন জানি মনে নেই কবিতায়—- জানি মনে নাই/ কবে কি আঘাত/ দিয়েছি তোমার মনে। তবু মনে হয় ঘটে পরমাদ মধুর ভুলের ক্ষণে।
স্মরণে বরণ কাব্যগ্রন্থ থেকে কবিতার দু একটা লাইন নিলে বলা যেতে পারে যে প্রতিদিন ছবি খুজি কবিতায় কবি লিখেছেন কত কথা লেখা ছিল হৃদয় খাতায়/ বৃথা কিসে ছবি খুঁজি তারই পাতায় পাতায়।
তৃষ্ণা কবিতায় লিখেছেন তখন রাত কেরাত চোখের অঘুম/ এখনো করুণা খুঁজি মেঘেদের দেশে।
কবি ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেলে নিয়মিত কবিতা পাঠ করছেন। বাংলা রাইটার্স ফোরামের রাজ্য কমিটির অন্যতম সহ-সভাপতি।
কবিতায় সব সময় ধরা পড়ে নিজস্বতা। উচ্চপদস্থ আধিকারিক পর্যায়ে সরকারি চাকরি করার পর বেশ কয়েক বছর হলো তিনি অবসর নিয়েছেন। অবসর নেওয়ার পর এখন সম্পূর্ণভাবেই সাহিত্যের মধ্যে দিয়ে জীবন যাপন করতে সদা ব্যস্ত। নাটক লিখতেও তিনি সিদ্ধহস্ত। তাই নাট্য সংগ্রহ বইয়ে লিখেছেন যে–/ প্রিয়তমে তোমার ইচ্ছা বহেই যাক আপন অনিবার বেগে ইচ্ছা তোমার ফলবতী হোক প্রশ্ন অনুথিত থাক। তোমার সুখের তরে প্রশ্ন আর নয় কখনো।
কবির ইচ্ছা আগামী দিন কবিতার মধ্যে দিয়ে বার্তা দিয়ে সুন্দর সমাজ গড়ার কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন , তাই অক্ষরা নামের কি ম্যাগাজিন নিয়মিতভাবে প্রকাশ করবেন আশায় বুক বেঁধেছেন। বর্তমানে নেশা ও পেশা কবিতা লেখা। আর ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে সকলের বন্ধনে নিজেকে অটুট বন্ধনে রাখতে বদ্ধপরিকর জানিয়ে দিলেন কবি নিমাই চাঁদ হালদার।
: