অবতক খবর,১০ ফেব্রুয়ারি : এসএসসিকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, অবিলম্বে ১,৯১১ জন গ্ৰুপডি কর্মীর সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করতে হবে। বিচারপতি বলেন, ‘‘আমার বিশ্বাস, বেআইনি ভাবে দুর্নীতি করে এই সব প্রার্থীদের সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল।’’ বিচারপতি এও জানিয়েছেন, যে প্রার্থীদের সুপারিশপত্র বাতিল করা হবে, তাঁরা অন্য কোনও চাকরির পরীক্ষায় আর বসতে পারবেন না।

১৯১১ জন গ্রুপ ডি হিসেবে গন্য হবেন না। তাঁদের বেতনও বন্ধ হয়ে যাবে । এতদিন তাঁরা যে বেতন পেয়েছেন, সেটাও ফিরত দিতে হবে। ধাপে ধাপে সেই টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে। প্রয়োজনে তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। এই প্রার্থীরা দেশের কোনও সরকারি চাকরিতে বসতে পারবেন না বলেও জানানো হয়েছে। তিন সপ্তাহ পর ১৪ মার্চ ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে। সেখানে কমিশন ও বোর্ডের তরফে জানানো হবে, তারা কী পদক্ষেপ করল।

শুক্রবার স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর আইনজীবী আদালতে স্বীকার করে নেন, ১,৯১১ জন গ্ৰুপ-ডি প্রার্থীকে অন্যায় ভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, সেই সময় এসএসসি-র চেয়ারম্যান কে ছিলেন। এসএসসি-র আইনজীবী জানান, সুবীরেশ ভট্টাচার্য। কমিশন তথ্য যাচাই করে আদালতে হলফনামা দিয়ে স্বীকার করে, ওই সব প্রার্থীর উত্তরপত্র (ওএমআর শিট)-এ কারচুপি করে চাকরির সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল।

শুক্রবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গেই ওয়েব সাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওই প্রার্থীদের সুপারিশ প্রত্যাহার করে নিল এসএসসি। এ বার মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে ওই প্রার্থীদের আইন মেনে অবিলম্বে চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।