অবতক খবর: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশ যাত্রা নিয়ে বিরোধীরা লাগাতার কুৎসা করছে। সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাইকোর্টের সম্মতি নিয়ে চোখের চিকিৎসা করাতে অভিষেক বিদেশ গিয়েছেন। এবার এরই কড়া জবাব দিল তৃণমূল কংগ্রেস । এনিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশযাত্রা নিয়ে যে কুৎসিত ও ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন বিরোধীরা, তাতে সন্দেহ হচ্ছে তাঁদের বাড়ির কেউ কখনও অসুস্থ হননি।“
বিরোধীদের জবাব দিতে গিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “অভিষেক তো আইনসম্মতভাবে বিদেশ গিয়েছেন। অথচ কুরুচিকর প্রচার চলছে।“ দলের মুখপাত্র বলেন, যা পদ্ধতি রয়েছে, তাতে সবদিক থেকেই দেখা যাচ্ছে, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বিদেশযাত্রা নিয়ে কোনও পর্যবেক্ষণ বা রায় মহামান্য আদালত দেননি। অভিষেক কিন্তু চোখের পাওয়ার দেখাতে যাননি।
“ভয়ংকর দুর্ঘটনায় তাঁর চোখের মণির যে ধারণ ক্ষমতা চুরমার হয়ে গিয়েছিল তা নিয়ে একের পর এক অস্ত্রোপচার হয়েছে। কলকাতা থেকে সেই চিকিৎসা শুরু হয়। এখনও সম্পূর্ণ সুস্থ হননি বলেই তো বিদেশে গিয়েছেন। সেখানে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এর আগে একদফা অস্ত্রোপচার হয়েছে, চিকিৎসা শেষে নির্দিষ্ট সময় পরে দেশে ফিরে এসেছেন অভিষেক। এবারও চিকিৎসা শেষে স্বাভাবিকভাবে দেশে ফিরবেন” এমনটাই জানান কুনাল ঘোষ।
দুর্ঘটনায় অভিষেকের বাঁ দিকের চোখের অপটিক্যাল লোব ভেঙে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে গিয়েছিল। দুবাই ও আমেরিকার দু’জন বিশ্বখ্যাত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তাঁর চোখের চিকিৎসা করছেন। চিকিৎসা করাতে তাঁকে তাই বিদেশে যেতেই হবে।
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বিদেশযাত্রা নিয়ে তাঁর আইনজীবী সঞ্জয় বসু এদিন স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘‘চিকিৎসার প্রয়োজনেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বিদেশযাত্রা। তাঁর বিদেশযাত্রার অধিকারে কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে না। এটি তাঁর মৌলিক অধিকার। প্রয়োজন না হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েই তিনি রওনা হয়েছেন। এর আগেও চিকিৎসা-সহ বিভিন্ন প্রয়োজনে অনেকবারই বিদেশ গিয়েছেন তিনি। সর্বোপরি সুপ্রিম কোর্ট এবং কলকাতা হাই কোর্ট বিভিন্ন সময়ে তাঁর বিদেশযাত্রার অধিকার স্বীকার করে নিয়েছে।’’ এরপরেও যদি কোনও বিশেষ উদ্দেশ্যে কোনও অসত্য খবর বা গুজব ছড়ানো হয়, তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী।