অবতক খবর সংবাদদাতা :: আজ’ বুধবার রুদ্রাভিষেক তথা শিবের পুজোর মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়ে গেলো রামমন্দির নির্মাণের কাজ।গত ২৮ বছর পর এই অযোধ্যায় কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান শুরু হলো।বাবরি মস্জিদ কাণ্ডের পর থেকে সমস্ত ধর্মীয় অনুষ্ঠানের উপর আদালতের স্থগিতাদেশ ছিল। রামনমীর দিনই আনুষ্ঠানিক ভাবে এই অযোধ্যায় ভব্য রামমন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে ঠিক করা হয়েছিল কিন্তু লকডাউনের জন্য সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।

বলা হয় যে লঙ্কা অভিযানের আগে শিবের পুজো করে তারপর রওনা দিয়েছিলেন শ্রীরামচন্দ্র। সেই মতো প্রতিবছরই ধুমধাম করে পালিত হয় রুদ্রাভিষেক। আজ সকাল থেকেই শিবের পুজো শুরু হয়েছে কুবের টিলা মন্দিরে। পুজো শেষ হওয়ার পর রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের পুরোহিতরা আনুষ্ঠানিক ভাবে মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করবেন বলে জানা গেছে ।

উল্লেখ্যঃ গত নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল ‘বিতর্কিত’ জায়গায় রামমন্দির বানানোর জন্য। সরকারকে একটি ট্রাস্ট গঠন করে দিতে বলে ছিল ।সেই অনুযায়ী ট্রাস্ট গঠন করে দেয়া হয়েছে আগেই। তার পর থেকে সকলে অপেক্ষা ছিলেন। ২৫ মার্চ ছিল চৈত্র নবরাত্রির শুরু। ওইদিন থেকেই লকডাউন শুরু হয়েছিল দেশে।তাই করোনা সংক্রমণের কারণে কোনও জমায়েতই হয়নি অযোধ্যায়।

নির্মাণ শুরু করার জন্য কয়েকজন পুরোহিতকে নিয়ে বুলেটপ্রুফ সিংহাসনে রামলালার মূর্তি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। যতদিন এই কাজ চলবে, ততদিন রামলালার মূর্তি থাকবে এই বিকল্প অস্থায়ী জায়গায়। এল এন্ড টি কে এই রামমন্দির নির্মাণের কাজ দেওয়া হয়েছে।মহন্ত কমল নয়ন দাস জানান যে মহাদেবের রুদ্রাভিষেক ছাড়া কোনো কার্য সিদ্ধ হয়না তাই এই রুদ্রাভিষেক।