একটা আগুনের বড় বেশি প্রয়োজন ছিল। একটা আগুনের মতো আগুন চাই…
আগুনের খোঁজ
তমাল সাহা
বাড়ির সব কিছু চেনা হয়ে গেছে।
শোবার ঘর রান্নাঘর স্নানঘর ঝুল বারান্দা
এমন কি কবিতার সব আনাচ কানাচ
কপাল চুঁইয়ে পড়া ঘাম, সবই পুরনো হয়ে যায়। তাই বেরিয়ে পড়ি রাস্তায়।
ঝিরঝির বৃষ্টি পড়ে।
গোরস্থানে ঝাপড়ানো বটগাছ ভেজে।
জানি এ বৃষ্টি তেমন জোরে হবে না।
কিছুক্ষণ বাদেই আবার রোদ উঠবে।
আমি গাছের দিকে তাকিয়ে থাকি।
গাছেরা বৃষ্টিতে ভিজুক রোদে পুড়ুক
আমি গাছেদের কোনো রকমফের দেখিনা।
গাছেরা নগ্ন হয়েই সবকিছু করে
গাছেদের জ্বর সর্দি কাশি হয় না
গাছেদের কেউ নগ্ন বলে না।
শীতে গাছেদের গায়ে তুষারকণা জমে
অথচ তাদের পশমের পোশাক নেই
গাছেদের ফায়ার প্লেস লাগেনা।
গাঁয়ের বাড়িতে কাঠের উনুন জ্বলে
আমাদের শহরের বাড়িতে গ্যাস ওভেন আছে
আমাদের শ্মশানে গনগনে আগুন আছে
আমাদের পকেটে দেশলাই বাক্স আছে
আগুন আমাদের হাতের সামনেই ঘোরে ফেরে
তবুও আমরা আগুন খুঁজি!
ভালোবাসার ভেতরেও কেমন একটা যেন আগুন আছে মনে হয়।
আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারিনা।
আমি আগুন চাই, আগুন চাই বলে হাটতে থাকি….