নিজস্ব সংবাদদাতা : অবতক খবর : আজ সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিজেপি কর্মী আহত নিয়ে তিনি বলেন, ওরা সব জায়গায় সমস্ত ফেজের আগে ভয় দেখানো গুলি চালানো মারতে চেষ্টা করেছে। ওরা হারতে শুরু করেছে তাই লোককে ভয় দেখানো ছাড়া রাস্তা নেই।
গতকাল চৌবাগায় বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙা হয়েছে। পুলিশকে ডাকলে সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ। পাশাপাশি চতুর্থ দফার ভোটে কসবা এলাকায় মানুষকে ভয় দেখানো হয়েছে। এই নিয়ে তিনি বলেন কসবার এমএলএ এর কিছু পকেট ভোট আছে সেগুলোতে উনি জেতেন। এবার ওই এলাকায় খুব ভালো ভোট হয়েছে। কিছু জায়গায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে।
শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃতদের পরিবারকে অর্থ সাহায্যে প্রত্যেক পার্টি কর্মী একশো টাকা করে চাঁদা দেবে বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নিজের নির্বাচনী ফান্ড থেকে টাকা দেবেন। এই নিয়ে তিনি বলেন একশো টাকায় কি হয়। তবে চাঁদা তোলার অভ্যাসটা রাখুন। আমাদের পার্টি কর্মীরা মারা গেলে পাঁচ লাখ টাকা দিই। মুখ্যমন্ত্রী ডেড বডি নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু নির্বাচন কমিশনের জন্য এবার উনি পারেননি। উনি মানুষকে প্রভাবিত করেছেন এই ধরনের উত্তেজনার মধ্যে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। এর আগে ওনার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করা হয়েছে। একজন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এটা আশা করি না সমাজের মধ্যে এরকম উত্তেজনা ছড়িয়ে রাজনৈতিক লাভ নেবেন। তাঁর তো আইন শৃঙ্খলার দায়িত্ব ছিল। পুলিশ আজকে ওনার তাবেদারী করছে না তাই পুলিশকে গালাগালি করছেন। এই পরিস্থিতি টা উনি তৈরি করেছেন মানুষের বোঝা উচিত কাকে দশ বছর ওনারা মুখ্যমন্ত্রী রেখেছেন।
চারটে দফায় বেঙ্গল পুলিশকে নিষ্ক্রিয় দেখা যাচ্ছে। এই নিয়ে তিনি বলেন এর আগে পুলিশ পার্টির অঙ্গুলি হিলনে কাজ করত। এখন পার্টি অঙ্গুলি হিলনে চলছে না। কিন্তু স্বতন্ত্র ভাবে কাজ করার মানসিকতা ওদের নাই। বুথ সামলাতে সেন্ট্রাল ফোর্স এসেছে সেটা নির্বিঘ্নে করছে মানুষ নিশ্চিন্তে ভোট দিচ্ছেন। সমাজে অশান্তি হচ্ছে সেটা সামলানো পুলিশের কাজ কিন্তু বাংলার পুলিশ ঠিক করতে পারছে না কোনদিকে যাবে।
চার দফায় বিজেপি সেঞ্চুরি করে ফেলেছে। এখন সেঞ্চুরির ওপরে যাচ্ছে বললেন দিলীপ ঘোষ।