অবতক খবর,২৯ জানুয়ারি: বাজেট অধিবেশেনে সম্ভবত ফের ঝড় তুলতে চলেছে ‘পেগাসাস’। এক মার্কিন সংবাদপত্রের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ সালে ইজরায়েল সফরের সময়ে ভারতের সঙ্গে সেদেশের বেশকিছু প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়েছিল। সেইসব চুক্তির মধ্যে ছিল ফোনে আড়িপাতার ইজরায়েলি স্পাইঅয়্যার পেগাসাস(Pegasus)। এটি কেনার জন্য খরচ ভারত সরকার খরচ করেছিল ২০০ কোটি টাকা।

ল্লেখ্য, মার্কিন সংবাদপত্রে ওই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই তেড়েফুঁড়ে উঠেছে বিরোধী শিবির। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi) টুইট করেছেন, দেশের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে মোদী সরকার। এনিয়ে সরব তৃণমূল ও সিপিএমও। তবে বিষটি গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি।

ইজারায়েলি সংস্থা এনএসও-র স্পাইওয়্য়ার পেগাসাস-এর মাধ্যমে দেশের একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, আমলা, সেনাবাহিনীর কর্তা, সমাজকর্মী, বিচারপতির ফোনে আড়িপাতা হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। এনিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ও সংসদ কোনও জবাব দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, কেন্দ্র কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করে তা জঙ্গিদের জানতে দেওয়া যায় না। এনিয়ে প্রকাশ্যে কোনও বিবৃতি দেওয়া সমীচিন নয়। তবে সেই সময় আদালতের বক্তব্য ছিল, সাধারণ নাগরিকের গোপনীয়তায় হাত দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। তাই জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাত খাড়া করা যায় না। প্রসঙ্গত, এনিয়ে তদন্তের জন্য একটি কমিটি গড়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

অন্যদিকে, ওই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই কেন্দ্রকে বিঁধেছেন রাহুল গান্ধী। এক টুইট করে তিনি বলেছেন, ‘সাধারণ মানুষ, রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্টদের ফোনে আড়িপাতার জন্য মোদী সরকার ওই স্পাইওয়্যার কিনেছিল।এটা দেশের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।’ এনিয়ে সুর চড়িয়েছেন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা।

এনিয়ে, তৃণমূল নেতা সৌগত রায় বলেন, সুপ্রিম কোর্ট পেগাসাস নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তার তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। তবে কেন্দ্র যে পেগাসাস কিনেছিল বিরোধীদের উপরে আড়িপাততে তা প্রমাণ হয়ে গেল।

অন্যদিকে, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এনিয়ে বলেন, নরেন্দ্র মোদী ইজরায়েলের সঙ্গে ডিল করেছিলেন। কেনাবেচা করেছেন। তার মধ্যে পেগাসাস ছিল। কোর্টে হলফনামা দিয়ে এনিয়ে তার অবস্থান স্পষ্ট করুক সরকার। দেশের মানুষের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা মানে একটা দেশবিরোধী মনোভাবের নিয়ে একটি সরকার চলছে।