রাজীব মুখার্জী :: অবতক খবর :: হাওড়া :: চন্দন কুমার মিত্র উনসানি গোয়ালবাটি এলাকার বাসিন্দা। কর্মসূত্রে কলকাতা বড় বাজারে থাকতেন। তিনি অবিবাহিত। বর্তমানে আজ নিজের বাড়িতে গায়ে জ্বর নিয়ে এলাকায় ঢোকে এতটাই অসুস্থ পাড়ার রাস্তাতে পড়ে যান। সেই অবস্থায় এখনো পর্যন্ত রাস্তায় বসে আছেন এলাকার বাসিন্দারা ভয় কাছে যেতে পারছেন না। এদিকে সাঁতরাগাছি থানা তে জানালে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। হাওড়া ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ছে উনসানি গোয়ালবাটি ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে খবর দিলে সেখান থেকেও কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এই চরম অবস্থা হাওড়ার স্বাস্থ্য কেন্দ্রর।
তার ভাইপো সুজয় মিত্র বলেন তার কাকা অবিবাহিত। তিনি সপ্তাহের ৫ দিন কলকাতায় কাজ করতেন। সপ্তাহ শেষে বাড়ি আসতেন। ওখানে এক গেঞ্জি কারখানায় কাজ করতেন তিনি। আজকে বাড়ি ফেরার সময় বাড়ির সামনের রাস্তায় পড়ে থাকার খবর পেয়ে তিনি ছুটে আসেন। এসে দেখেন তার মুখ দিয়ে লালা ঝরছে। গায়ে অনেক জ্বর। সেই অবস্থাতেই তার বোন কে নিয়ে গামছা করে ধরে তুলে আনেন। এরপরে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জানালে সেখান থেকে তাকে জানানো হয় যে ডাক্তার চিকিৎসা করছিলেন তিনি নিজেই কোভিড আক্রান্ত। তাই তাদের পক্ষে কিছু করা সম্ভব হবে না। এরপরে তিনি স্থানীয় প্রশাসন কে জানালে সেখান থেকে তাকে দুটো নম্বর দেওয়া হয়। তিনি দাবি করেন করোনার জন্য যে এম্বুলেন্সে ফোন করেছিলেন। ফোন বেজে গেলেও কেউ তোলে নি।
এরপরে তিনি সাঁতরাগাছি থানায় ফোন করলে সেখান থেকেও কোনো সদুত্তর পান নি। পাড়া প্রতিবেশীরা এতটাই আতঙ্কিত হয়ে আছে যে তার কাকাকে ধরে কোনো চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। তার কাকাকে দ্রুত চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ্য করে তোলার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া খুব জরুরি বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আবেদন করেন তার কাকাকে যেন হাসপাতালে নিয়ে গেলে অযথা বিড়ম্বনার মধ্যে না পড়তে হয়।