অবতক খবর,২ জুলাই,মলয় দে নদীয়া:-নদীয়ার রানাঘাট আদালত চত্বরে রয়েছে পুরসভার শৌচালয়। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে মাঝেমধ্যেই সেখানে যাচ্ছেন বিভিন্ন আইনজীবী, মক্কেল কিংবা প্রশাসনিক কাজে মহকুমা শাসকের দফতরে আসা মানুষজন।

শৌচালয়ের ভেতরেই রয়েছে ছোট্ট একটা ঘর। ভ্যাপসা গরমে শান্তি বলতে একটাই সিলিং ফ্যান। মেয়েকে পাশে বসিয়ে বইয়ের ছাপা অক্ষরে আঙুল রেখে মা পড়াচ্ছেন। শৌচালয়ের ওই ঘর যেন এখন হয়ে উঠেছে বছর দশের সুহানীর সাউয়ের ‘ নিজের পাঠশালা’।

গরমের ছুটিতে রানাঘাট ব্রজবালা প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির এই ছাত্রীর অধিকাংশ দিন কাটে রানাঘাট আদালতের পাশে থাকা ওই শৌচালয়ের ঘরে। নিজের মায়ের সঙ্গে।

সেই ঘরে বসেই আনমনে সাদা কাগজে এঁকেছে ছবি। মেয়ের শখের আঁকা ছবি শৌচালয়ের ওই ঘরের দেওয়ালে সযত্নে ঝুলিয়ে রেখেছেন মা কল্পনা দেবী ।এবার সেই ছোট মেয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব নিল রানাঘাট সিটিজেন ফোরাম।

এদিন একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ছোট্ট সোহানি সারা জীবনের পড়াশোনার দায়িত্ব নিল রানাঘাট সিটিজেন ফোরাম সোহানির পড়াশোনার জন্য তার হাতে তুলে দেয়া হল শিক্ষার সামগ্রী। এ বিষয়ে সিটিজেন ফোরামের সম্পাদক পরেশনাথ কর্মকার জানান, রানাঘাট সিটিজেন ফোরাম সবসময় মানুষের পাশে থেকে কাজ করে এবং নেয় অধিকারের জন্য লড়াই করে তাই এই ছোট্ট শিশু সুহানি যে পড়াশোনা করতে আগ্রহী এবং আঁকতেও খুব ভালোবাসে।

তাই তার ভবিষ্যৎ আরো উজ্জ্বল করতে তার পড়াশোনার দায়িত্ব সারা জীবনের জন্য সিটিজেন ফোরাম তাদের কাছে তুলে নিল এবং তাকে রানাঘাটের একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল দেবনাথ ইনস্টিটিউশনে তাকে ভর্তি করিয়ে তার উচ্চশিক্ষার সমস্ত দায়িত্ব নিল সিটিজেন ফোরাম এবং পরবর্তীতে সুহানের পাশে থেকে তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথে সবসময় সাহায্য করবে তারা এমনই অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে তার হাতে কিছু শিক্ষা সামগ্রী তুলে দেন।

যদিও সংবর্ধনা পেয়ে যথেষ্টই খুশি ছোট্ট সুহানি এবং তার মা জানান তিনি মনে হচ্ছে স্বপ্ন দেখছেন কারণ এই অভাবের দিনে এইভাবে রানাঘাট সিটিজেন ফোরাম তাদের পাশে দাঁড়াবে সেটা কখনো ভেবে উঠতে পারেননি।

তিনি দেবাদিদেব মহাদেবের পূজার্চনা করেন তার মতে স্বয়ং মহাদেবী মানুষ বেঁচে ছোট্ট সুহানের পাশে দাঁড়িয়েছে রানাঘাট সিটিজেন ফোরাম হিসেবে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথ আরও মসৃণ করেছে রানাঘাট সিটিজেন ফোরাম তাই তাদের কাছে তিনি চিরঋণী হয়ে থাকবেন।