বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন তিনি। আমরা মর্যাদা দিতে পারিনি।
কৃষক আন্দোলনে, শ্রমিক সংগ্রামে তাঁর উদাত্ত গান–
এক উজ্জীবিত আহ্বান।
তাঁর জন্মদিনে বিজয়ী হলো স্বাধীনোত্তর ভারতবর্ষে চলমান
এক ঐতিহাসিক কৃষক সংগ্রাম।
তিনি সলিল চৌধুরী, তাঁকে প্রণাম।
আন্ডারগ্রাউন্ড ও ওয়ারেন্ট
তমাল সাহা
আন্ডারগ্রাউন্ড মানে কি?
সে তো মাটির নিচে।
সেখানে কি থাকে গানের বীজধান!
ওয়ারেন্ট মানে কি?
সে তো হুলিয়া-গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।
তবে কি করে লেখা হবে জাগরণের গান!
ওসব ফালতু ইংরেজি শব্দ তুড়ি মেরে
এড়িয়ে তিনটি পরোয়ানা
মাটির নিচে থেকে রেকর্ড হয়ে গেল
গান তিনখানা।
রানার, অবাক পৃথিবী, গাঁয়ের বধূ–
হেমন্তের দায়িত্বে সে এক পরিপূর্ণ ঝুঁকি
আর তুমি তখন ভয়-মেশানো আহ্লাদে আটখানা!
হেই সামালো!
হুঁশিয়ারি দিয়েছো তুমি কাকে?
তোমাকে কারা হুঁশিয়ারি দিয়েছিল
এই ফাঁকে!
গানে ‘হায় বিধি!’ কেন তুমি উচ্চারণ করো?
এতো ঈশ্বরবাদ!
গাঁয়ের বধূ, এতো ভাববাদ!
কমিউনিস্টের জাত যায়
এ সব নেতিবাচক বড়ো!
তোমার পাল্টা প্রশ্ন, আল্লা মেঘ দে,
তবে কি করে গাওয়া যায়?
কি উত্তর দেবে ঠিকেদারেরা—
এদিক ওদিক তাকায়!
ঢেউ উঠছে কারা টুটছে
বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা
পথে এবার নামো সাথী—
সোচ্চার কণ্ঠে উদাত্ত আওয়াজ
হেই সামালো ধান হো
কাস্তেতে দাও শান্ত হো—
মিটিং- মিছিলে সে এক বীরদর্পী রণসাজ!
কোথায় নেই তুমি?
গানে গল্পে কবিতায় যন্ত্রে কথা সুরে সিনেমায়–
তোমাকে ছেড়ে দিলে
আমাদের হাতে থাকে কি?
সে তো সস্তা রাজনীতির বুজরুকি!
সলিল মানে তো সহজ সরল–জল
তার মানে জীবন।
তুমি, হেমন্ত, সুকান্ত ত্র্যহস্পর্শে
একদিন গড়ে দিয়েছ আমাদের ভুবন।