আমার মনে হয় বিবেকানন্দ এখন যদি বেঁচে থাকতেন এন আর সি, এন পি আর,সি এ এ মানতেন? তিনি কি এসব প্রতিহত করে বিশ্ব পর্যটন থেকে বিরত থাকতেন? তিনি নাহলে কিভাবে বিশ্ব পরিব্রাজক অভিধায় অভিহিত হতেন। ভারতীয় দর্শনের মূল কথা
জীবে প্রেমকে কিভাবে ঈশ্বর প্রেমের সঙ্গে মেলাতেন!
আবার বিবেকানন্দ
তমাল সাহা
মনে হতো ওই সময়টাতে
যদি জন্মাতুম কী ভালোই না হতো!
তোমাদের দেখতে পেতুম—
সে সময়টা আমাদের গর্ব।
কত সব প্রমা দিয়ে তৈরি হয়েছিল
এক বিশাল বৃত্ত।
কেন্দ্র বা ব্যাসার্ধ না হোক
এরিনা ঘিরে পরিধি বরাবর তো
বসতে পারতুম!
এখন মনে হয়
তখন না জন্মেই ভালো হয়েছে।
তাহলে তো এতদিনে মরে যেতুম।
এখনকার কথা কি করে লিখতুম!
কী ধাতু দিয়ে তোমরা তৈরি
হয়েছিলে, কে জানে?
এখনও লিখতে গেলে
তোমাদের দৃষ্টান্ত টানতে হয় আর
তোমার কথা তো সম্পূর্ণ আলাদা!
সীমান্ত কাঁটাতার প্রহরী
রাষ্ট্রীয় আইনকে নির্বিবাদে তুচ্ছ করো তুমি– এক মহান বিশ্ব-পরিব্রাজক।
এখনও তুমি আমাদের স্পর্ধা,
প্রত্যয়ী বিশ্ব নাগরিক—
এই সময়ের অহঙ্কার।
তুমি তো কবেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছো
এই পৃথিবীটা কার?
এখানে মানুষ ছাড়া
আর কোনো পরিচয় নেই,
দুনিয়াটা শ্রমজীবীর কারবার।