অবতক খবর,২ জুলাই,কেশপুর: দোর – গোড়ায় কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত নির্বাচন! শাসক থেকে বিরোধী সবাই একে অপরকে টক্কর দিতে ব্যাস্ত রাজনৈতিক প্রচারে। তবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে আবারও উঠে এলো বেড়াচড়া কঙ্কাল কান্ড! কারন এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের ৫৯ নং আসনে কেশপুর থেকে প্রতিদন্ধিতা করছেন বেনাচাপড়া কঙ্কাল কান্ডের মূল অভিযোগকারী তৃণমুল প্রার্থী শ্যামল আচার্য্য। তার বিরুদ্ধে টক্কর দিতে প্রস্তুত বেনাচাপড়া কঙ্কাল কান্ডে অভিযুক্ত সিপিআইএম প্রার্থী নিয়ামত হোসেন! ফলে কেশপুর সহ গোটা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মানুষের নজর রয়েছে এই আসনটির দিকে। যদিও দুজনেই এই আসনে জেতার ব্যাপারে আশাবাদী ১০০ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৪ঠা জুন গড়বেতা ও কেশপুর লাগোয়া বেনাচাপড়া দাসেরবাঁধে মাটি খুঁড়ে বের হয় নরকঙ্কাল! তৃণমূল অভিযোগ তুলেছিল, ২০০২ সালের ২২ শে সেপ্টেম্বর ক্ষমতায় থাকাকালীন তৃণমুল নেতা অজয় আচার্য্য সহ ৭ জন তৃণমূল কর্মীকে মেরে পুঁতে দিয়েছিল সিপিআইএম, সেই কঙ্কালই বেরিয়েছে। সেই ঘটনায় আনন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অজয় আচার্য্য এর ছেলে তথা কেশপুর ব্লক তৃণমূলের সহ সভাপতি শ্যামল আচার্য্য। প্রাক্তন মন্ত্রী তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সিপিআইএম এর সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ সহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তভার যায় CID র হাতে। সেই মামলায় সুশান্ত ঘোষ সহ একাধিক CPIM নেতাকে জেল খাটতে হয়েছে। তারই মধ্যে এবার CPIM ও TMC র সেয়ানে সেয়ানে লড়াই।

একজন নির্বাচনে প্রচারের ময়দানে বেনাচাপড়া কঙ্কাল কান্ডকে যখন হাতিয়ার করেছে, অন্যজন তখন সেই ঘটনাকে তৃণমুলের নাটক বলেই দাবি করেছেন মানুষের দরবারে। ফলত, কোনদিকে যাবে কেশপুরের এই আসনের নির্বাচনী আবহাওয়া, সেটাই দেখার।