অবতক খবর , সুজিত , আরামবাগ , হুগলীঃ- আমফান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ি। অভিযোগ মেলেনি সরকারি বাড়ি, খোলা আকাশের নিচে বাচ্চা শিশুকে নিয়ে দিন কাটাচ্ছে মহিলা।
অভিযোগ পৌরসভায় জানিয়ে মেলেনি সুরাহা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ বাড়ির সামনের পোলে রয়েছে আলো, আর নিচে অন্ধকার।
জ্বলন্ত চিত্র আরামবাগ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের উত্তর আদিবাসী পাড়ার। দিন আনা দিন খাওয়া শ্রমজীবী আদিবাসীদের জন্য সরকারের গালভরা প্রতিশ্রুতি সার এমইটাই অভিযোগ এলাকাবাসীদের । পৌরসভার উন্নয়নের কোন প্রভাব পড়েনি এখানে বলেও অভিযোগ । ছোট ছোট মাটির বাড়ি, সরু সরু রাস্তা। আমফানের তান্ডবে গৃহহীন মহিলা দুধের শিশুকে নিয়ে অবশিষ্ট একটা মাত্র মাটির দেয়াল আর মাটির সঙ্গে মিশে থাকা লরঝরে ভাঙ্গা টিনের ছাউনির নিচে ছেঁড়া কাপড় দিয়ে ঘেরা ঘরে অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন । অভিযোগ আমফানের তান্ডবের পর এখানেও স্থানীয় শাসকদলের দুএকজন নেতা পা দিয়েছিলেন গ্রামে।
আমফানের ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণে আশ্বাস মিলে ছিল বলেও অভিযোগ । সরকারি বাড়ির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন তারা । অভিযোগ কেউ কথা রাখেননি। ভোটের সময় রাজনৈতিক দলের নেতারা থেকে আশ্বাস মেলে , একটাও মাটির বাড়ি থাকবে না, রাস্তা হবে, পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হবে। এমন বহু গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ। ভোট ফুরিয়ে ক্ষমতায় এসেই নটে গাছটি মুড়িয়ে যায়। এলাকার আদিবাসীদের দাবি অন্তত কালি সরেনের অসহায় মেয়েটার দিকে সরকার মুখ তুলে দেখুক।
এভাবে কি মানুষ বসবাস করতে পারে। অভিযোগ যে কোন সময় মাটির দেয়াল চাপা পড়ে মা-মেয়ের বড় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে । কালি সরেনে, সন্ধ্যা মালিক, রমা মালিক, আরতি মালিক সহ অনেকেই নিজেদের ক্ষোভের কথা জানান। তাদের অভিযোগ কারো সরকারি বাড়ি নেই। তাদের দাবি নেতাদের নিজেদের ঘরের টাকা থেকে তো বাড়ি করে দিতে হবে না, সরকার বাড়ি দিচ্ছে, ব্যাবস্থা করতে পারে । তাহলে আজ পর্যন্ত কেন এখানে আদিবাসী পাড়ায় সরকারি বাড়ির গরীব মানুষ পেলো না।
আমফানের ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণে সরকার এখানে কি মুখ ফিরিয়ে থাকবে। এলাকাবাসীর অভিযোগ কেন গৃহহীন মহিলা একমাত্র সন্তানকে নিয়ে প্রান হাতে রাত কাটাবে। সরকারি অফিসাররা নিজেরা এসে দেখে যাক।
অসহায় অবস্থায় রয়েছে আরামবাগ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দারা। সরকার কি দেখবে, সেই দিকে তাকিয়ে এলাকাবাসী।