চাই, চাই, চাই আমরা। আমরা কী চাই? আমরা কী খুব বেশি কিছু চাই! শুনুন তবে
আমরা চাই রক্তকরবী
তমাল সাহা
আজন্ম আমরা রুখাশুখা
আমরা তো কবেই পেট ভুখা।
আমাদের দাবি শুধু চাই চাই
পেলে যেন আস্ত গিলে খাই।
দুনিয়া জুড়ে কতসব
সাজানো রাশি রাশি।
আমরা শুধু দেখে যাই
চাই কি খুব বেশি?
আমরা কি বুঝি
কোনো জাতপাত?
আমাদের চোখে শুধু
ভাসে দু মুঠো ভাত।
খিদের তো কোন ভেদ নেই
নেই কোন হিন্দু মুসলিম।
খিদের তো অঝোর কান্না
সে তো একই কিসিম।
আমরা মন্দির
মসজিদ চাই না,
চাই না কোন ধর্ম।
আমাদের তো শূন্য হাত
চাই শুধু দিনভর কর্ম।
বুদ্ধ মানে প্রজ্ঞা
বেদ মানে জ্ঞান,
এ তো আমরা
সকলেই জানি।
খিদে পেটে কে
শোনে ললিত কথা
শান্তির বাণী!
এত বারুদ ঘর
আমরা কি চাই,
চাই কোন অস্ত্র?
চেয়ে দেখো
আমরা নাঙ্গা।
কটিতে নেই
কোনো বস্ত্র।
আমরা তো চাই
মাথাগোঁজার ঠাঁই,
ছোট্ট একটা আস্তানা।
শীতে বড় জোর কাঁথা মুড়ি
ছেঁড়া দুটো দস্তানা।
আমরা তো যাবই
শ্মশান গোরস্তান।
যাবার আগে
দেখে যেতে চাই
সুন্দর স্বদেশ
নেই কোন
রাষ্ট্রীয় মস্তান।
আমাদের আজান
প্রার্থনা শুধু ,
একটু বেঁচে থাকা।
যাবার আগে
প্রাণ ভরে আকাশ
নক্ষত্র চন্দ্র সূর্য দেখা।
বাংলার মুখ আমি দেখি নাই
দেখিয়াছি ঘাসফুল পদ্মফুল
এখনও দেখি নাই সেই
প্রিয় রক্ত করবী!
শিশু সূর্য হেসে ওঠে
সমুদ্র পারে দাঁড়িয়ে আমি
কবে শুনিব ভোরের ভৈরবী।