অবতক খবর: সোমবার ভার্চুয়ালি বীরভূমের দুবরাজপুরের সভায় অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “ভুল বুঝবেন না, আমার ৮, ১০ দিন লাগবে। তারপর আমি বেরোতে পারবো। তারপর আমার ছোটখাটো অপারেশন করতে হবে। আমার হাঁটুতে জোর লেগেছে। আমি মানসিক ভাবে আছি।’’

ভার্চুয়াল মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সংখ্যালঘুদের ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে সিপিআইএম কত মানুষ কে মেরেছে। তাদের হাত থেকে মানুষ মুক্তি পেয়েছে। জঙ্গলমহলে বিজেপি টাকা দিচ্ছে, কার কত কেলেঙ্কারি আছে, সেই তথ্য আমাদের কাছে আছে। কেউ যদি কোনও অন্যায় করে কোর্ট তাঁকে শাস্তি দিক। অথচ কোর্ট এ কিছু প্রমাণ করতে পারছে না। কংগ্রেস দিল্লিতে বলছে একসঙ্গে লড়ব, বাংলাতে বলছে এসো মমতার বিরুদ্ধে লড়াই করব। দুই রকম লাড্ডু তো হয় না।”

বিজেপিকে নিশানা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপি কাশ্মীরকে শেষ করেছে। এখন বাংলায় চোখ। আদিবাসীদের লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। কামতাপুরির এক নেতা বিজেপি এর এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা আদিবাসীদের জন্য আইন করেছি। সেখানে রয়েছে, আদিবাসীদের সম্পদ কেড়ে নেওয়া যাবে না। ৬০ বছরের পরে পেনশন দেওয়া হচ্ছে। মণিপুরের পরিস্থিতি দেখুন। এগুলো বিজেপি করাচ্ছে।”

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমাদের সহকর্মীদের বলবো কোনো রকম বিভেদ নয়। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কোনও বিভেদ দেখলে আমি কিন্তু অ্যাকশন নেব। আমি বাড়ি থেকেই কাজ করছি। আমার ৭ -৮ দিন সময় লাগবে বাইরে বেরোতে।”

মমতা বলেন, “রামপুরহাটে একটা ঘটনা ঘটেছিল। আমি ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। কৃষকদের বলব ধান বাইরে বিক্রি করে সরকারের কাছে বিক্রি করুন। না হলে দালালরা ঢুকে যাবে। আমরা ৫০ লাখ মেট্রিক ট্রন চাল আমরা কিনি। এতে কৃষকদের হাতে টাকা যাবে। আমরা কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা দিই।”