আজ ফাদারস ডে— জনক দিবস। আমার বাবা প্রয়াত হয়েছেন ১৯৮৯ সালে। তিনি শিক্ষক ছিলেন।

আমার বাবা /তমাল সাহা

একটি লোহার পাত কুড়িয়ে পেয়েছিলুম।
পাতটি বেশ মজবুত।
বাবা বললেন,বলো তো লোহার পাতের কাজ কি?
আমি বললুম, লোহার পাত দিয়ে মায়ের রান্নার কড়াই, ঝাঁঝরি হাতা,রুটি বানানোর চাটু, রাজমিস্ত্রির কর্ণিক কত কী তৈরি হয়।

বাবা বললেন, শোনো! লোহার পাত দিয়ে রিভলভার-বন্দুকের নলও তৈরি হয়।
—ও বন্দুক! সে তো জানি।
বন্দুক তো মাস্টার দা,বিনয় বাদল দিনেশ,বাঘা যতীনের কাছে ছিল।

আমার বাবা, আমাদের বাগানে একটি মেহগনি গাছ পুতেছিলেন।মেহগনি খুব দামী গাছ। এতে ফার্নিচার তৈরি হয়।
বাবা বলেছিলেন, মেহগনি কাঠে রাইফেল-রিভলভারের বাটও তৈরি হয়।

আমার বাবা এখন নেই।
তিনি মোটা মোটা সব বই পড়তেন।
বলেছিলেন,বলো তো মোটা বইয়ের উপযোগিতা কি?
শোনো, বিপ্লবীরা এর মধ্যে খোপ কেটে পিস্তল লুকিয়ে রাখতেন

তাহলে নিশ্চিত বোঝা গেল
লোহার পাত মেহগনি গাছ ও
মোটা বই—এদের মধ্যে একটি সম্পর্ক রয়েছে।
এরা জীবন ও সংগ্রামের পরিপূরক।

আমি বাবার দিকে তাকিয়ে রইলুম।