অবতক খবর,২৬ মার্চ,রামপুরহাট, সুমিত: বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরই গ্রেফতার করা হয় রামপুরহাট (Rampurhat) ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল (TMC) সভাপতি আনারুল হোসেনকে। তারাপীঠের (Tarapith) একটি হোটেল থেকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি গ্রেফতার করা হয়েছিল। রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলার আগে আনারুল দাবি করেন, ‘আমি নির্দোষ, দিদির নির্দেশেই আত্মসমর্পণ করেছি’।
প্রসঙ্গত, আনারুলের বিরুদ্ধে খুন, ষড়যন্ত্র, হিংসা ছড়ানো-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল। খতিয়ে দেখা হচ্ছে আনারুলের মোবাইল ফোনের কললিস্টও। আনারুলের সঙ্গে কাদের কথা হয়েছিল? আনারুলকে কেউ কোনও নির্দেশ দিয়েছিল কি? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গ্রেফতার: বৃহস্পতিবার বগটুই গ্রামে গিয়ে অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই পুলিশকে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়া মাত্রই তৃণমূলের অভিযুক্ত ব্লক সভাপতির বাড়িতে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। ঘিরে ফেরা হয় তাঁর বিলাসবহুল বাড়ি। যদিও পুলিশ যাওয়ার সময় বাড়িতে ছিলেন না আনারুল হোসেন। প্রায় এক ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পর ফিরে যান তদন্তকারীরা।
আনারুলের অনুগামীদের বিক্ষোভ: পুলিশ সূত্রে খবর, এরপরই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশনের দিকে নজর রাখা হচ্ছিল। সেই সূত্র ধরেই ৮ কিলোমিটার দূরে তারাপীঠ থেকে নাটকীয়ভাবে গ্রেফতার করা হয় আনারুলকে। রামপুরহাটে তৃণমূলের ব্লক সভাপতির বাড়িতে পুলিশ যেতেই, বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন আনারুলের অনুগামীরা। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলেন তাঁদেরই একজন। আনারুলের এই অনুগামীর দাবি, ‘আনারুলকে ফাঁসিয়ে দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে।’
এদিকে, রামপুরহাটকাণ্ডে গ্রেফতার আরও ১ (1 Arrested)। রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে (Rampurhat Violence) এবার নিহত তৃণমূল (TMC) উপপ্রধান ভাদু শেখের শ্যালককে গ্রেফতার করল পুলিশ । পুলিশের দাবি, ধৃত রাজেশ শেখ ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত । ভাদু শেখ খুনের পর, তাঁর শ্যালক রাজেশ কোথায় ছিলেন, তাঁর ভূমিকা কী ছিল, সেই সংক্রান্ত তথ্য জানার চেষ্টা করছেন সিটের তদন্তকারীরা । গতকাল গ্রেফতার হন রামপুরহাট (Rampurhat) ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি আনারুল হোসেনও । এর আগে রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে ২১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ।