অবতক খবর,৬ জুলাই: আগামীকাল রথযাত্রা, এই রথযাত্রারকে সামনে রেখে গত পাঁচ দিন ধরে বহরমপুরের রাজেশ দাস সে জগন্নাথ সুভদ্রা এবং বলরামের মূর্তি তৈরি করেছেন।আর্ট কলেজের ছাত্র বহরমপুরের রাজেশ দাস তিনি কাগজ কেটে আঠা দিয়ে জুড়ে তৈরি করলেন জগন্নাথ সুভদ্রা এবং বলরাম।

রাজেশ দাস তিনি বলেন, রথযাত্রার কথা মাথায় রেখে পেপার নিয়ে পেপারক্রাফটিং করে এই তিনজনের মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। আর্ট কলেজ থেকে পাশ করার পর তিনি পেপার এবং আর্ট নিয়ে নানান ধরনের কাজ করেছেন। এই পেপার নিয়ে কাজ করে রাজেশ দাস রাজ্য স্তরের দুবার পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া এই কাগজের কাজ করে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে তিনি নাম তুলেছেন।

এছাড়াও বিভিন্ন পূজা মন্ডপে তিনি কাজ করেছেন। কাগজের বিভিন্ন মূর্তি তিনি বানিয়েছেন বলে জানান। তিনি বলেন আগামী দিনে আমার স্বপ্ন এই কাজের মাধ্যমে বড় জায়গায় যাওয়ার। আগামী দিনে এই পেপার কাটিং করে তার আরো অনেক কিছু তৈরি করার ভাবনা আছে। এই কাগজ কেটে আঠা দিয়ে জুড়ে নানা ধরনের কাজ তিনি করেছেন ।তার ইচ্ছা আছে ভবিষ্যতে এই পেপার কাটিং এবং পাটের উপর একটি প্রদর্শনী করার।

রাজেশ দাস তিনি প্রথম দিকে ছবি আঁকতেন, তারপর মাটির কাজের সঙ্গে যুক্ত হন। সেখান থেকে আর্ট কলেজে ভর্তি হন সেখান থেকে এই পেপার কাটিং নিয়ে নানান ধরনের কাজ তিনি করেন।

তিনি আমাদের জানান প্রথমদিকে নানান ধরনের মুখোশ তৈরি করতেন। এরপর আস্তে আস্তে মূর্তির দিকে যোগ দেন। তার এই ধরনের কাজ দেখে অনেক পুজো মন্ডপে তিনি কাজ করার ডাক পেয়েছেন। তিনি জানান ২০১৬ সালের পর থেকে এই পেপার কাটিং এর উপর তার ঝোক বাড়ে। রাজেশ দাস বলেন, জগন্নাথ ,বলরাম ,সুভদ্রা এই মূর্তি তৈরি করতে তার পাঁচ দিন সময় লেগেছে। এটি তিনি পূজো হচ্ছে বা বিক্রির জন্য করেননি বলে জানান।

সামনের দিনে যে এক্সিবিশন করবেন তাতে তার একটি স্টক বাড়লো বলে তিনি বলেন। তার তৈরি কাগজের দুর্গা প্রতিমা জেলার বাইরেও গিয়েছে বলে তিনি জানান। রাজেশ দাসের জন্মসূত্রে বাড়ি কান্দিতে কিন্তু ২০১৩ সালের পর বহরমপুরে স্থানান্তর হয়েছেন বলে জানান। তার পরিবার নানান ধরনের শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সেখান থেকেই তার এই অনুপ্রেরণা। তিনি বলেন ছবি আঁকার উপর অনেক প্রদর্শনী করেছি কিন্তু এখন আমার লক্ষ্য এই কাগজ ক্র্যাফটিং এর ওপর প্রদর্শনী করার।