অবতক খবর,২৮ নভেম্বর,জলপাইগুড়ি: ফুটবল ময়দানে নির্মাণ করা হচ্ছে আর্ট গ্যালারি। আর যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। খেলার মাঠ খেলার কাজেই ব্যবহৃত হোক প্রতিবাদে সরব হয়েছে খেলোয়াড় থেকে প্রাক্তন খেলোয়াড়, রেফারি এবং নিয়মিত শরীর চর্চা করতে আসা ধূপগুড়ির ক্রীড়া প্রেমীরা। তাঁদের মতে ধূপগুড়ি শহরে বর্তমানে সচল একটি মাত্র মাঠ রয়েছে। দিন যাচ্ছে বেহাল দশায় পরিণত হচ্ছে মাঠটি।
রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে খেলার অযোগ্য হয়ে উঠছে। খেলার মাঠকে যেমন খেলার কাজে ব্যবহার করার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি মাঠ সংস্কারের দাবিও জানানো হয়। জানা যায় ধূপগুড়ি পুরসভার তরফে ২০ লক্ষ্য টাকা খরচ করে পুর ক্রীড়া ময়দানে আর্ট গ্যালারি নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে যার কাজ শুর হয়েছে।
আর এই আর্ট গ্যালারি নির্মাণ করা কে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বির্তক।ইতিমধ্যে পুর ফুটবল ময়দানে আর্ট গ্যালারি নির্মাণ করাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রশ্ন উঠছে। ময়দানের খেলোয়াড় থেকে শুরু করে বিরোধী দলের নেতারাও এই আর্ট গ্যালারি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। দীর্ঘদিন ধরে এই মাঠের সাথে যুক্ত খেলোয়াড় থেকে শুরু করে রেফারিরাও চাইছে খেলার মাঠ খেলার জন্য ব্যবহার করা হোক। মাঠ দখল করে যাতে কোনো কিছু নির্মাণ না করা হয় সেই দিকটাও পুরসভা নজর দিক।
প্রাক্তন খেলোয়াড় অজিত দে বলেন, মাঠ সংস্কারের প্রয়োজন কিন্তু তাঁর জন্য অর্থ অনুমোদন হয় না কেন আমাদের প্রশ্ন। কিন্তু এখন আর্ট গ্যালারি নির্মাণ করা হচ্ছে। ধূপগুড়ির একমাত্র মাঠ পুর ময়দান। ধূপগুড়ি ফুটবল ক্লাবের তত্ত্বাবধানে মহিলারা অনুশীলন করেন। মাঠে তাঁদের জন্য ডেসিং রুম নেই বাথরুম। খুব সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের।
এই বিষয়ে বিজেপি নেতা চন্দন দত্ত জানিয়েছেন পুরসভার পুর ফুটবল ময়দান নিয়ে একটি ইতিহাস রয়েছে।প্রথম অবস্থায় এই মাঠ সকলের কাছে খেলার মাঠে নামে পরিচিত ছিল,পরবর্তীতে এই মাঠ পুরসভার হাতে হস্তান্তর হয়।কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে গুটি কয়েক ব্যক্তির স্বার্থে একটি আর্ট গ্যালারি তৈরি করা হচ্ছে।যা নিয়ে আমাদের আপত্তি রয়েছে।
তবে এই বিষয়ে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং জানিয়ে কোন মাঠ দখল করা হচ্ছে না। বিরোধীদের বিরোধিতা করা তারা করবেই। আর্ট গ্যালারি নির্মাণ করা ধূপগুড়ি বাসীর একটি আবেদন ছিল। যার কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। যেটা নির্মাণ করা হচ্ছে তার উপরতলাতে আর্ট গ্যালারির কাজ চলবে,আর নিচতলাতে খেলোয়াড়দের স্বার্থে ব্যবহার করা হবে এবং এটা তাদের হাতেই তুলে দেওয়া হবে।এটা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোন বিষয় নেই।