অবতক খবর,৫ মে,জ্যোতির্ময় মন্ডল,পূর্ব বর্ধমানঃ মন্তেশ্বর থানার বিরাট সাফল্য।
আর্থিক প্রতারণা চক্রের হদিস পেল মন্তেশ্বর থানার পুলিশ। সরকারকে কর ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন চাষীর নামে অজান্তে ব্যাংক একাউন্ট খুলে টাকা লেনদেন করতো তারা। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনজনকে। ধৃত সঞ্জয় ঘোষ, শ্রীকান্ত ঘোষ ও মঙ্গলময় ঘোষ সকলেই মন্তেশ্বর থানা এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ জানাই ধৃতদের কাছ থেকে কিছু ব্যক্তির নামে থাকা প্রচুর পরিমাণে ব্যাংক একাউন্টের বই, 38টিএটিএম কার্ড , ল্যাপটপ ও নগদ পঞ্চাশ, একটি মোটরবাইক, হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। থানা সত্রে জানা গেছে, গলসির একটি রাইস মিলের ম্যানেজার ক্যাশিয়ার পদে রয়েছেন মন্তেশ্বরের সঞ্জয় ও শ্রীকান্ত।
তাদের সঙ্গে যোগ হয় মঙ্গলময়। তারা একত্র মিলে মন্তেশ্বরের সাহাপুর , আসানপুর গ্রাম এলাকার বহু মানুষের বাড়ী গিয়ে তাদের কাছ থেকে কাগজপত্র সংগ্রহ করে ব্যাংকে একাউন্ট খুলে অবৈধভাবে সেই একাউন্টে আর্থিক লেনদেন করতে থাকে। এমনি সাহাপুর গ্রামের সুদীপ দাস নামে একজন সুদীপ দাস তার মোবাইলে মেসেজ আসে ১০ হাজার টাকা ঢুকেছে। সেই মেসেজে মাধ্যমে গতকাল সুদীপ দাস ব্যাংক থেকে সেই টাকা তুলে নেয়। সুদীপবাবু আরো জানতে পারেন তার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বহু টাকা লেনদেন হয়েছে অথচ তিনি জিরো ব্যালেন্সের বই খুলেছেন।
সুদীপ বাবু ব্যাংকে টাকা তোলার পর ধৃত ব্যক্তিরা তার ওই টাকা চাইতে যায়।
সুদীপবাবু তার একাউন্টের লাখ লাখ টাকার লেনদেনের হদিশ পেয়ে মন্তেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ জানায়। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে পুলিশ আসল রহস্য খুঁজে পায়। শুধু সুদীপ নয়, এলাকার আরো বহু মানুষের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছে তারা। পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে শ্রীকান্ত সঞ্জয় ও মঙ্গলময় যখন একটি বাইকে করে এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল সে সময় কুসুম গ্রামের বাজার এলাকার কাছে তাদেরকে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের শুক্রবার কালনা আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
তদন্তের স্বার্থে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ রাইস মিলের ম্যানেজার ধৃত সঞ্জয় ঘোষের জন্য সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করেছেন কোর্টের কাছে।