অবতক খবর,১৯ সেপ্টেম্বর: ইসলামপুর শহরে প্রাচীনতম বনেদি পরিবার মন্ডল পরিবারের দুর্গাপুজো। ইসলামপুর পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন মন্ডলের গোলা বলে খ্যাত এই পুজো। পরিবারের সদস্যরা জানান, তারা ঠিক বলতে পারছেন না কত বছরের পুরনো এই পুজো। তাদের অনুমান অনুযায়ী এই পুজো প্রায় ২০০ বছরের পুরনো হতে পারে। ইসলামপুর যখন বিহারের অধীনে ছিল, সেই সময় থেকে এই দুর্গাপুজো পূর্বপুরুষেরা করে আসছেন। পুজোতে পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্য উপস্থিত থাকেন। তারা যে যেখানেই থাকেন না কেন এই দুর্গাপুজোর এই চারটে দিন পুজো মন্ডপে উপস্থিত থাকেন।সারাদিন ভোগ খাওয়া থেকে শুরু করে পুজোর আচার-আচরণ নিয়মকানুন মেনেই পুজো অনুষ্ঠিত হয়। তাদের আরো বক্তব্য, এখানে দুর্গা বলে মাকে পুজো করা হয় না। এখানে বাড়ির মা বলেই মাকে পুজো করা হয়। মায়ের আদেশ ছাড়া এই পরিবারের কোনো কাজ হয় না। যেকোনো শুভ কাজ মায়ের আদেশ মাকে নিমন্ত্রণ করার পরেই বিভিন্ন কাজ করা শুরু করেন। ব্যবসা-বাণিজ্য হোক বা যাই হোক মায়ের আদেশ তাদের লাগবেই।
তিনি আরো বলেন, এই নাটমন্দিরে মায়ের প্রতিমা গড়ার কাজ শুরু হয় রথের সময় কাঠামো পুজো করে। তারপরেই প্রতিমা গড়ার কাজ শুরু হয়।
দেবীর ষষ্ঠীর দিনে বোধন, তারপর সপ্তমী এবং অষ্টমীর দিন এখানে হিন্দু, মুসলিম,খ্রিষ্টান সবাই মিলে এই পুজোতে অংশগ্রহণ করেন।তাদের ভোগের ডালা অষ্টমীর দিন নবমীর দিন পরে এবং পরিবার সূত্রে আরো জানা যায় যে, পুজোতে মায়ের যে প্রসাদ বা ডালা পরে তা কোন ধর্ম বিশ্বাসের নয়। প্রত্যেকটি ধর্মের মানুষই এই পুজোয় অংশগ্রহণ করেন এবং চিরাচরিতভাবে এই রকম হয়ে আসছে।অনেক মুসলমান পরিবারের এই পুজোতে তাদের প্রসাদ নিবেদন করেন এবং দীর্ঘদিন ধরেই হয়ে আসছে। পাশে একটি কালী মন্দির রয়েছে সেই কালী মন্দিরের তারা আশ্বিন মাসে পূজা করে থাকেন। এই মন্ডল পরিবারের ঐতিহ্যবাহী বনেদি পরিবারের পুজো এ পূজার মাহাত্ম্য যুগ যুগ ধরে পরিবারের সদস্যরা বলছেন। পরিবারের সদস্যরা জানান গত দু’বছর ধরে করোনার এই কারণে খুব কষ্টের সঙ্গে পূজা করে আসছি। মায়ের কাছে বলব মা যেন প্রত্যেককে ভালো রাখেন এ করোনা থেকে মুক্তি দেন। তিনি বলেন মায়ের এত কিপা তাদের পরিবারের অনেকেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিল মায়ের আশীর্বাদে তারা প্রত্যেকেই সুস্থ হয়েছেন।