অবতক খবর,১২ মার্চ,অভিষেক দাস,মালদা:-এই প্রথম সম্পূর্ণ বিনা খরচে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে চার বছরের শিশুর মাথার অস্ত্রপাচার করে সাফল্য মিললো। বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছিল হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ভালুকা এলাকার মশালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের করিয়ালী গ্রামের চার বছরের শিশু সুমাইয়া ইয়াসমিন। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় প্রথমে মালদা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হয় ওই শিশুকে। তড়িঘড়ি রেফার করা হয় কলকাতায়। কিন্তু সেখানে না নিয়ে গিয়ে ইংরেজবাজার শহরের একটি নার্সিংহোমে অস্ত্রোপাচারের জন্য ভর্তি করানো হয় ওই শিশুকে। তারপরে মিলে সাফল্য।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শিশুর বাবার নাম সোলেমান আলি। তাঁর বাড়িতেই মুদিখানার দোকান রয়েছে । ওই শিশুর মায়ের নাম রহিমা খাতুন, গৃহবধূ। তাঁরা জানিয়েছেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বাড়ির পাশে রাস্তায় চার বছরের মেয়ে সুমাইয়া খেলা করছিল। সেই সময় একটি মোটর বাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে থাকা ওই শিশুকে ধাক্কা মারে। তাতেই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে ওই শিশুটি তড়িঘড়ি থাকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। এরপর সেখান থেকে শহরের বেসরকারি একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়।।
ইংরেজবাজারের ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দূর্ঘটনার পর থেকেই শ্বাস-প্রশ্বাস চললেও জ্ঞান ছিল না ওই শিশুর। মাথায় গুরুতর আঘাত লাগায় রক্ত জমাট বেঁধেছিল। এরপরই নিউরোসার্জেন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়। গত সোমবার ওই শিশুর ব্রেন অপারেশনের পর সাফল্য মিলে। আপাতত সংকটমুক্ত রয়েছে শিশুটি।
অতিরিক্ত জেলাশাসক তথা মালদা জেলা পরিষদের কার্যনির্বাহী আধিকারিক শেখ আনসার আহমেদ জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে সম্পন্ন বিনামূল্যে ওই শিশুকে অস্ত্রোপাচারে সাফল্য এসেছে। মনে করা হচ্ছে মালদায় এই প্রথম ব্রেনের এমন জটিল অস্ত্রোপাচার করা হয়েছে।
অসুস্থ ওই শিশুর বাবা সোলেমান আলি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই ইংরেজবাজার শহরের একটি নার্সিংহোমে মেয়ের ব্রেন অপারেশন হয়েছে। এখন মেয়ে ভালো আছে। এজন্য চিকিৎসকদের কৃতিত্ব দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্য সরকার ও মালদা জেলা প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ওই শিশুর পরিবার।