এই সময় তারাশঙ্কর এবং আমি
তমাল সাহা

‘কালরাত্রি’ নেমে আসে
‘সংঘাত’ ঘনায় ‘আগুন’ হয়ে ওঠে ‘ধাত্রীদেবতা’।
‘অভিযান’-এ নেমে পড়ে ‘নীলকন্ঠ’
‘যতিভঙ্গ’ হয়ে যায়
‘কালবৈশাখী’ ছুটে আসে দুরন্ত বেগে দিগবিদিক জুড়ে ‘ঝড় ও ঝরাপাতা’।

‘একটি কালো মেয়ের কথা’য়
এ কোন ‘চৈতালি ঘূর্ণি’
‘তামস তপস্যা’য় ‘যোগভ্রষ্ট’ হয় না কেউ
‘জনপদ’- এ ‘বিস্ফোরণ’ ‘কিষিন্ধ্যা কাণ্ড’
সকলেই নির্ভীক।
নেমে পড়ে শ্লোগানে ‘মিছিল- এ’ ‘মহানগরী’ ও যাবতীয় ‘নাগরিক’।
জীবন তো শুধু ‘প্রেম ও প্রয়োজন-এ’ ‘সপ্তপদী’ নয়, নয় ‘জলসাঘর’, একটি চলমান রথ।
নয় ‘এক পশলা বৃষ্টি’
আরো দূর যেতে হবে হাঁটতে হবে সুদীর্ঘ ‘ছায়াপথ’।

‘সন্দীপন পাঠশালা’র কিশোর কিশোরীরাও গড়ে তুলতে চায় ‘আরোগ্য নিকেতন’।
‘বিচারক’ও দেখে ‘কালিন্দী’র জলের পাশে পুড়ে যায় ধর্ষিতার ‘কান্না’র জীবন।

বিচার চাই! চিৎকারে মেতে ওঠে ‘পঞ্চগ্রাম’—
‘রাইকমল’ ‘মহাশ্বেতা’ ‘চাঁপাডাঙ্গার বউ’ ‘গন্না বেগম’ ‘হীরা পান্না’ ‘শঙ্করীবাঈ’ ‘মণি বৌদি’ হয়ে ওঠে ‘অরণ্যবহ্নি’।

যেন একেকটি ‘নাগিনী কন্যার কাহিনী’—
‘সংকেত’ পাঠায় ‘ভুবনপুরের হাট’-এ
দুর্বার ‘পদচিহ্ন’ থেকে হেঁটে যায় কারা?
শোনা যায় ‘গণদেবতা’র ধ্বনি ‘প্রতিধ্বনি’!