বঙ্গোপসাগরীয় উপত্যকায় আগুন জ্বলছে। কারা এর পেছনে? কারা কি করছে ,কি বলছে?
এইসব মুখগুলি
তমাল সাহা
কে নিয়েছে
বঙ্গোপসাগরীয় এই উপত্যকার ঠিকেদারি?
কে বলছে,
এনআরসি,ক্যাব কিছুই হবে না তড়িঘড়ি?
শুধু মুখে বলা নয়,
লক্ষ লক্ষ টাকা করছে খরচ বিজ্ঞাপনে জনগণের কাছে পৌছে দিতে এই সংবাদ।
আরে শালো! এর পেছনে ভোট আছে
না হলে ক্ষমতা দখল বরবাদ।
কে বলছে,
এই কালা কানুন লাগু হবে না।
লবণাক্ত জলবায়ুর এই পলল মৃত্তিকা বিধৌত সমভূমিতে তবুও আগুন জ্বলছে।
প্রতিবাদে শাসক নিজেই পায়ে হাঁটছে।
ভোট-ই ক্ষমতার ভূষণ
ভোট বড়ো বালাই—
তাই বড়ো প্রয়োজন
সময় বুঝে সম্প্রদায় তোষণ।
কে বলছে,
এই উপত্যকা মা-মাটি-মানুষের।
তবুও মানুষ কেন আগুন জ্বালায়?
এরা কারা, দেশজ সম্পদ ধ্বংস করে?
তাহলে তার রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা কোথায়?
কেন পথচারী মানুষ আতঙ্কিত
ইতস্তত ছুটে পালায়
কখন কোথায় লাগবে আগুন?
কোন প্লাটফর্মে? কোন স্টেশনে? কোন রেলওয়ে কামরায়?
তাহলে এই রাজ্য মা-মাটি-মানুষের দখলে গেছে কোথায়?
মানুষের নিরাপত্তা দেবে কে?
এখন শাসকের দালালেরা পেছনে রেখে হাত
নেমে পড়েছে রাস্তায়।
এইসব বুদ্ধিজীবী আমাদের বহুদিনের চেনা।
কাদের গোলাম,কাদের কেনা।
তাদের কলম খুব নাকি খুব ধারালো!
যারা এখন শাসককে বাঁচাতে
তার পাশে গিয়ে দাঁড়ালো।
নবরত্ন সমাবেশ ছিল বিক্রমাদিত্যের সভায়।
এরা কোন যুগের প্রত্নরত্ন ?
শাসকের পাশে থেকে মুখ দেখায়।
আমরা তো ছাড়ি দীর্ঘশ্বাস।
কাকে করি বিশ্বাস,কে দেবে আশ্বাস?
আমরা তো দেখাতে পারিনা কিছুই।
শুধু দেখে যাই রাষ্ট্রীয় খেল,
আমরা তো দর্শক।
তারা বলে, তাদের প্রিয় শাসকই নাকি একমাত্র পথ প্রদর্শক।
তাহলে তাদের এতো লেখাজোখা ছাইভস্ম নাকি
নিজেরা জনপ্রতারক!
মাথা উঁচু করে এরা বলবে কবে,
মানুষই তো দেশের সারবত্তা।
তোর শাসনে কেন এতো ধর্ষণ আগুন হত্যা?
এদের কি সত্যিই আছে সেই বুকের পাটা!
নাকি এরা শাসকের দালাল,
রাষ্ট্রের পা-চাটা?