অবতক খবর,১১ জানুয়ারি,বাঁকুড়া:- ঘুমের মধ্যে বিছানায় স্বামী মারা গেছেন এক দিন আগে তা টেরই পাননি স্ত্রী। দীর্ঘক্ষণ পর টের পেলেও তা আর জানাতে পারেননি প্রতিবেশীদের। স্বামীকে পাড়ায় দেখতে না পেয়ে প্রতিবেশীরা নিজেরা দেখলেন মারা গেছেন বৃদ্ধ। এরপর প্রতিবেশীরাই আত্মীয়দের খবর দিয়ে মৃতদেহ সৎকারের উদ্যোগ নেন। স্ত্রীর অজান্তে স্বামীর মৃতদেহ এভাবে কতক্ষণ বাড়িতে পড়েছিল তা নিয়ে ধন্দে প্রতিবেশীরা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য প্রতিবেশীরাই উদ্যোগ নিলেন মৃতদেহ সৎকারের।

বাঁকুড়ার সিনেমা রোডে নিজেদের দোতলা বাড়িতে বসবাস করতেন সত্তোর্ধ সাধন বরাট ও তাঁর স্ত্রী রেবা বরাট। দম্পতির এক ছেলে ও দুই মেয়ে থাকলেও তাঁরা বাইরে থাকেন। সাধন বাবু প্রায় প্রতিদিনই বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পাড়ার লোকজনের সাথে আড্ডা দিতেন। দিন দুই সাধন বরাট বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছেন না দেখে গতকাল রাতে প্রতিবেশীরা সাধন বাবুর বাড়িতে গিয়ে দেখেন বাড়ির দোতলার মেঝেতে পাতা বিছানার উপর মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে তাঁর দেহ। স্ত্রী রেবা বরাট নির্বিকার ভাবে গৃহস্থালির কাজে ব্যস্ত।

এরপর সাধন বরাটের মৃতদেহের পাশে থাকা মোবাইল ফোন থেকে নম্বর সংগ্রহ করে তাঁর মেয়ে ও অন্যান্য আত্মীয়দের খবর দেন প্রতিবেশীরা। সাধন বরাটের এক মেয়ে মৃতদেহ সৎকারের ব্যাপারে অপেক্ষা করার অনুরোধ জানায়। সেই মতো এখনো বাড়িতেই পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন স্ত্রী রেবা বরাট দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভাবে অসুস্থ। সে কারনে স্বামীর মৃত্যু বুঝতে পারেননি তিনি। স্ত্রী রেবা বলেন প্রথমে স্বামী মারা গেছে তা তিনি বুঝতে পারেননি। পরে বুঝতে পারলেও প্রতিবেশীরা দূরে থাকায় তাঁদের খবর দেওয়া সম্ভব হয়নি।