এখন আমার কোনো বন্ধু নেই,
শব্দকেই আমি আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরি।
শব্দই আমার ভালোবাসার নারী
সব সময় তার শরীর নিয়ে নাড়াচাড়া করি।
একটি যৌন কবিতা
তমাল সাহা
যারা চিত্রকর যারা ভাস্কর্য গড়ে
তারা জানে নগ্নতায় সৌন্দর্য আছে
তারা তো ন্যুড স্টাডি করে।
মেয়ে দুটি তো নগ্ন ছিল না,
ছিল ন্যাংটো উদোম উলঙ্গ।
গণধর্ষিতা হবার পর
ক্লান্ত শরীর দুটি শুধু হেঁটে যায়
সৌন্দর্যহীন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ।
এ শরীরে যৌনতা থাকেনা, লজ্জা থাকে না
তারা তখন শক্ত পাথর বিকলাঙ্গ!
শত শত বিকৃতকাম পুরুষেৱ লুব্ধ চোখে
তারা দ্বিতীয়বার ধর্ষিতা হচ্ছিল
সবাই ছিল দুঃশাসন
তাদের অবাঞ্ছিত হাত ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখছিল
অসহায়াদের গোপন প্রাঙ্গণ-প্রদেশ।
নারীর শরীর বলে কথা
অ্যাতো সুলভে পাওয়া যায় দেহ এই ভারতবর্ষে
অ্যাতো সস্তা যৌনতার আবেশ!
তাদের চেতনায় নেই কোনো বোধের উত্তাপ।
তাদের মা ধর্ষিতা উলঙ্গ
তারা মায়ের শরীরে রাখছে উপভোগের হাত!
এই মরা দেশে একটিও দ্বিতীয় পাণ্ডব নেই
নেই কোন সুগভীর পরামর্শ।
গর্জনশীলা কন্যাকুমারিকার তীৱভূমে
উত্তুঙ্গ হিমালয়ের প্রান্তে
মাথা নত করে দাঁড়িয়ে আছে আমার ভারতবর্ষ!
আমি মরে যেতে চাই, আমি আত্মঘাতী হবো
রাষ্ট্রের মুখে লাথি মেরে আমি যা ইচ্ছা তাই করবো
শাসক পারলে রুখুক ,করুক আমার কেশ স্পর্শ!