অবতক খবর,১৭ জানুয়ারি,বীরভূম: ভোটের বাজারে বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা বলতেন, ‘ভয়ঙ্কর খেলা হবে’। তিনি খেলেছেন। তবে ‘ভাগ্য’-এর। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জিতলেন লটারি। তাও আবার কোটি টাকার জ্যাকপট!
মাত্র ৬ টাকার টিকিট। তাতে লেগে গিয়েছে কোটি টাকার জ্যাকপট। নাগাল্যান্ড স্টেট লটারিজের বাম্পার অফার অনুব্রতের পকেটে। সোমবার বেরিয়েছে ডিয়ার লটারির রেজাল্ট। দুপুরে সেই ফল সামনে আসতেই চোখ কপালে বীরভূমবাসীর। এ যে ‘কেষ্টদা’! উনিও লটারি খেলেছেন? প্রশ্ন অনেকের। লটারি সংস্থার ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে, অনুব্রত মণ্ডলের ছবি, নাম, এমনকী জেলার নামও। পাশে জ্বলজ্বল করছে কোটি টাকা পেয়েছেন তিনি। ‘একেই বলে কপালের নাম গোপাল থুড়ি কেষ্ট,’ বলছেন অনেকে।
কিন্তু সত্যিই লটারি কেটেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল?
lotterysambadresult.in- এই ওয়েব সাইটেই দেখা যাচ্ছে তাঁর ছবি। যদিও, এ বিষয়ে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি এখনও। তবে গোটা বিষয়টি ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি অস্বীকার করেছেন বলেই জানা গিয়েছে। অনুব্রতবাবুর দলের নেতারা বলছেন, ‘দাদা যে লটারি কাটতেন, জানতাম না!’ গোটা ঘটনায় মুখে কুলুপ তাঁদের। কেউ প্রকাশ্যে কিছু বলছেন না। আবার অনুব্রত যদি অস্বীকার করেন লটারির কথা তাহলে লটারি সংস্থার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করবেন? ডিয়ার লটারি বেশ বিখ্যাত। সেই সংস্থা কি এত বড় ভুল করবে? এমন নানা প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু উত্তর এখনই মিলছে না।
লটারি কেটে রাতারাতি বড়লোক হয়েছেন এমন সংখ্যা তো নেহাত কম নয়। বীরভূমেই কয়েকদিন আগে শ্রমিক লটারি জিতেছেন। পরিযায়ী শ্রমিক থেকে রাজমিস্ত্রি, ছাত্র থেকে টিউশন মাস্টার, রাতারাতি কপাল খুলেছে অনেকের। সেই তালিকায় নাম উঠল তৃণমূল নেতারও? উত্তর মিলছে না। তবে সত্যি হলে, অনুব্রত হয়ত বলে উঠবেন দারুণ খেলা হল!
এদিকে অনুব্রত মণ্ডলের ডিয়ার লটারির টিকিট যার থেকে গিয়েছে, সেই সেলার জানান, “গত বছরের সাত ডিসেম্বর আমার কাউন্টার থেকেই এক কোটি টাকা জেতার খবর এসেছিল। কিন্তু ওই প্রাইজ কী জিতেছেন জানা ছিল না।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমার দোকান থেকেই ফার্স্ট প্রাইজ এসেছে শুনে আমার ভাল লেগেছে। কিন্তু আমার কাছে কেউ আসেননি। এখন শুনছি অনুব্রত মণ্ডল পেয়েছেন”। উনি কি লটারির টিকিট কেটেছিলেন? তৎক্ষণাৎ ওই ব্যবসায়ীর উত্তর “এটা বলতে পারব না।”