অবতক খবর,১০ অক্টোবরঃ এবছরও যথারীতি নিয়ম মেনেই ছোলা মদ সহযোগে শেষ হলো লাভপুরের তারা মা বা নীল সরস্বতীর পূজো। প্রতি বছর ত্রয়োদশীর রাত শেষে এই পুজোর আয়োজন করেন এলাকাবাসীরা। লোকমুখে প্রচলিত কথা অনুযায়ী লাভপুরের তৎকালীন জমিদার হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায় এর স্ত্রী প্রভাবতী দেবীর গর্ভে সন্তান এলে তা কিছু দিনের মধ্যেই মারা যেত।

এমন সময় লাভপুরে তন্ত্র সাধনা করতে আসেন কালী সাধক রামজী গোঁসায়। এবং হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর স্মরণাপন্ন হলে তিনি তাঁকে আদেশ দেন সেখানে তারা মায়ের পূজো করতে। এবং সেই আদেশ অনুযায়ী হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৯৭ সালে রামজী গোঁসায় এর পরামর্শে দেবী পক্ষের ত্রয়োদশীতে তন্ত্র মতে তারা মায়ের পূজো করেন ও পুত্রেস্ঠি যোজ্ঞ করেন এবং তার বছর খানেকের মধ্যেই প্রভাবতী দেবী ও হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায় এর কোলে আসেন তাদের পুত্র সন্তান তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়।

শোনা যায় এই তারা মায়ের আশীর্বাদ ধন্য হওয়ার জন্যই তার নাম রাখা হয় তারাশঙ্কর, এবং ঐ জায়গার নাম হয় তারামায়ের ডাঙ্গা। আর তখন থেকে এখনও পর্যন্ত চলে আসছে এই পূজো। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্য পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রথমে তারা এই পূজো করতেন লাভপুরের নামো সদরে।

দীর্ঘদিন ধরে তারা ওখানেই এই পূজো করে এসেছেন কিন্তু তারপর কিছু কারণ বসত এই পূজো বন্ধ হওয়ার জোগাড় হলে তারাশঙ্করের বংশের কয়েকজন সদস্য মিলে ওই পুজোর নামে তারামায়ের ডাঙ্গার কয়েকজন বাসিন্দাদের নিয়ে একটি দেবোত্তর ট্রাস্ট বা ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করেন, এবং পূজটিকে তারামায়ের ডাঙ্গার বাসিন্দাদের বারোয়ারী পূজো হিসেবে ঘোষণা করেন এবং তার পর থেকে আবারও নতুন উদ্যমে এই পুজো হয়ে আসছে তারা মা ডাঙায়।