অবতক খবর,৯ জানুয়ারি: বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি তৈরি হওয়ার পর থেকে ধুম পড়েছে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার। গোটা রাজ্যে একাধিক নেতা গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন। এবার সেই তালিকায় নতুন সংযোজন হল শঙ্কুদেব পন্ডার নাম।
বিজেপি যুব মোর্চার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন শঙ্কুদেব পন্ডা। মুকুল রায়ের (Mukul Roy) হাত ধরে তৃণমূল (TMC) ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছিলেন শঙ্কুদেব পন্ডা। গত বিধানসভা নির্বাচনের পর মুকুল রায় আবার তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার পর থেকেই গত আট-নয় মাস ধরে আক্ষরিক অর্থেই অন্তরালে চলে গিয়েছিলেন শঙ্কুদেব। তাঁকে বিজেপির কোনও কর্মসূচিতেই দেখা যাচ্ছিল না।
এরপর আজ ফের শঙ্বুদেবকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। কারণ, তিনি ছিলেন বিদায়ী যুব মোর্চার কমিটির রাজ্য সহ-সভাপতি। সেই কমিটির গ্রুপ থেকে আজ তিনি বেরিয়ে যান।
দিনকয়েক আগে বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন খড়গপুর সদরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। কেন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন তিনি? অভিনেতা-বিধায়ক জানিয়েছিলেন, ইদানীং দল-সংগঠনের কোনও কাজে তাঁকে লাগানো হত না। তাই তিনি মনে করছেন, সম্প্রতি তিনি দলের মধ্যে প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছেন। তাঁর অভিযোগের তির, বঙ্গ বিজেপির বড় বড় নেতাদের বিরুদ্ধে। তিনি ক্ষোভ উগরে দেন দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে।
হিরণের দাবি, রাজ্য বিজেপির বড় বড় নেতারা মনে করেন আমাকে দরকার নেই। যেখানে উন্নয়ন হবে, সেখানে আছি। উন্নয়নে বাধা দিলে প্রতিবাদ জানাব। দিলীপ ঘোষ খড়গপুরে এসে সভা করেন। ইচ্ছামতো দল চালান। আমাকে কিছু জানান না।
সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য ও জেলা কমিটিগুলিতে রদবদল হয়। সূত্রের খবর, তাতে মতুয়াদের তেমন প্রতিনিধিত্ব না থাকায় ক্ষুব্ধ হন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ ও সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর। তারপরই রাজ্য বিজেপির সব হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি।
তার আগে বারাসাত সাংগঠনিক জেলা (BJP Barasat Organisational District) থেকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন সংগঠনের সহ-সভাপতি ও আহ্বায়ক।
নতুন রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়ায়, আগেই বিজেপির (BJP) মিডিয়া সেলের হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp) গ্রুপ থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন সায়ন্তন বসু (Sayanta Bose)। সেই পথেই হাঁটেন পাঁচ বিধায়ক। দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে সরে যান- গাইঘাটার বিধায়ক ও মতুয়া ঠাকুরবাড়ির সদস্য সুব্রত ঠাকুর। বনগাঁ উত্তরের অশোক কীর্তনীয়া। কল্যাণীর অম্বিকা রায়, রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী এবং হরিণঘাটার অসীম সরকার।
বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন বাঁকুড়ার চার বিধায়কও। নতুন জেলা সভাপতিকে নিয়ে ক্ষোভের কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে দাবি ইন্দাসের বিদ্রোহী বিধায়কের।