অবতক খবর , রাজীব মুখার্জী, হাওড়া :: হাওড়ার ক্রমবর্ধমান করোনার সংক্রমণ। এমতাবস্থায় যেকোনও উপায়ে হাসপাতালে শয্যা বৃদ্ধি করতে তৎপর রাজ্য প্রশাসন। তারই অঙ্গ হিসাবে এবার নতুন কোভিড হাসপাতাল হিসাবে শ্রমজীবীকে গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা। সেই মতই আজ হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাসের নেত্রত্বধীন একটি মেডিক্যাল টিম ঘুরে দেখেন বেলুড়ের এই হাসপাতাল।
পাঁচটি তল বিশিষ্ট এই হাসপাতালে মোট ৩০ টি বেড রয়েছে। বর্তমানে যেখানে অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা চলছে। কিন্তু অবিলম্বে সেই হাসপাতালকেও চতুর্থ স্তরের কোভিদ হাসপাতাল গড়তে সচেষ্ট প্রশাসন। এবিষয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস জানান, এই হাসপাতালে সমস্ত রকম প্যাথলজিক্যাল টেস্ট ও ডায়ালিসিসের সুবিধা রয়েছে। ফলে আমরা চতুর্থ লেভেলের কোভিদ হাসপাতাল হিসেবে শ্রমজীবীকে চাইছি। তবে এর পাশাপাশি শ্রমজীবী হাসপাতালের তরফে পাশের একটি জমিতে কোভিদ হাসপাতাল গড়তে চেয়ে একটি আবেদন জমা পড়েছে। সেই জায়গাটি আজ ঘুরে দেখা হল। বিষয়টা নিয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলব।
উল্লেখ্য শ্রমজীবী হাসপাতাল যথেষ্ট স্বল্প পরিসরে গড়ে ওঠার ফলে স্বাভাবিকভাবেই কয়েকটি প্রশ্ন সামনে আসে। যার মধ্যে অন্যতম হল, কোভিদ হাসপাতালে জন্য সামনে বেশ কিছুটা মুক্ত অঞ্চল থাকা প্রয়োজন। যেখানে গাড়ি থেকে কোভিদ রোগীদেরকে নামিয়ে হাসপাতালের ভেতরে ঢোকানো হবে। কিন্তু শ্রমজীবী হাসপাতাল জিটি রোড লাগোয়া এবং স্বল্পপরিসরে গড়ে ওঠা একটি ভবন। ফলে আদৌ কি সম্ভব এই হাসপাতালে কোভিদ চিকিৎসা? এনিয়ে ভবানী দাস জানান, কোভিদ হাসপাতাল হলে আমরা কোভিদ জোন হিসাবে ঘোষণা করে দেবো আশপাশের চত্বরকে। হলে তখন ভিড় কমে যাবে বলেই বিশ্বাস।